গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে খবর, গোপনাঙ্গ দিয়ে ৬টি সোনার বিস্কুট শরীরে ঢুকিয়ে পাচার করার সময় ওই মহিলাকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃত খতেজা বিবির (৩৬) বাড়ি হাঁড়িপুকুর এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার এই হাঁড়িপুকুর এলাকায় মলদ্বার দিয়ে পেটে সোনার বিস্কুট ঢুকিয়ে পাচার করার চেষ্টা করেছিল এক ব্যক্তি। প্রায় এক কেজি সোনা সহ ধরা পড়ে সে। ফের অভিনব কায়দায় সোনা পাচার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হিলি থানার হাঁড়িপুকুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টি সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম। বাজারমূল্য ৫২ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার সকালে ধৃত মহিলাকে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিলে তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলে গোপনাঙ্গে ৬ টি সোনার বিস্কুট লুকিয়ে কাঁটাতারের গেট দিয়ে ঢোকে খতেজা। সেসময় বিএসএফ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করার সময় ধরা পড়ে মহিলার শরীরে ধাতব কিছু রয়েছে। এক্স-রে করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মহিলা স্বীকার করে তার শরীরের ভেতর সোনা লুকিয়ে রাখা আছে। তখন বিএসএফের মহিলা কর্মীরা তল্লাশি চালান। গোপনাঙ্গ থেকে বের করা হয় বিস্কুটগুলি। ধৃতের শরীর এক্স-রে করে তাঁরা নিশ্চিত হন আর কোনও ধাতব বস্তু নেই। খতেজা স্বীকার করেছে, টাকার বিনিময়ে হিলি বাজার পর্যন্ত সোনার বিস্কুটগুলি পাচারের দায়িত্ব নিয়েছিল সে। কাঁটাতারের ওপারে হাঁড়িপুকুর গ্রাম এখন সোনা পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে। এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা সোনা এদেশে ঢুকছে বলে সূত্রের খবর।
পরপর পাচারকারী ধরা পড়লেও মূলচক্রীদের এখন নাগাল পায়নি বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তর। বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিক মণীশ এস রাঠোর বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা নিয়ে ভারতীয় মহিলা এপারে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তার তলপেট থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। শুল্ক দপ্তরের হাতে মহিলাকে তুলে দিয়েছি। এক সপ্তাহের মাথায় ফের সোনা উদ্ধার হল। এই চক্রের পিছনে কারা জড়িত, বিএসএফ তদন্ত করছে।