কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
পুরাতন মালদহ পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক আধিকারিক সাধন দাস বলেন, আমরা বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ক্যাম্প করছি। করোনা আক্রান্তদের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য বলছি। অথচ দেখা যাচ্ছে করোনা টেস্টের প্রতি শহরের বাসিন্দাদেরই আগ্রহ কম। পরীক্ষা না করিয়েই অনেকে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে তারপর কি হবে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভীতি থাকায় এধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মানুষকে বোঝাব।
পুরাতন মালদহ শহরে বাচামারি এক করোনাজয়ী বলেন, প্রথম করোনা টেস্টের সময় আমারও ভয় হয়েছিল। রিপোর্ট কি আসবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হতো। তবে সেটা করোনার জন্য নয়। ভয় ছিল সামাজিক বয়কট নিয়ে। এখন তো আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতেও থাকা যাচ্ছে। মানুষের উচিত স্বতঃস্ফূর্তভাবে টেস্ট করানো। পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য চন্দনা হালদার বলেন, করোনা পরীক্ষা নিয়ে যে মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য কর্মীরা তাঁর প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করছেন। তারপর তাঁদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই সেই পরামর্শ মানছেন না। সকলেই যাতে পরীক্ষা করান, সেজন্য আমরা সচেতনতামূলক প্রচার করব।এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুর এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, মানুষ আতঙ্কে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। অনেকেরই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাঁদের সোয়াব দিয়ে আসার জন্য বলা হলেও তাঁরা আসছেন না। এতে করোনার সঙ্গে লড়াই করার আমাদের চেষ্টাটাই ব্যাহত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরাতন মালদহ শহরের শতাধিক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের বাসিন্দাদের জন্য প্রশাসন করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেও বাসিন্দাদের অনুপস্থিতিতে তা সাফল্য লাভ করছে না। গত সপ্তাহে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্তদের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সোয়াব পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে। একদিনের ওই শিবিরে পুরসভা প্রায় ১৫০ জনের সোয়াব সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছিল। অথচ মাত্র ২২ জন সোয়াব পরীক্ষা করিয়েছেন।