Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরীক্ষার জন্য এই দীর্ঘ
প্রতীক্ষা তীব্র যন্ত্রণার
হারাধন চৌধুরী

প্রতীক্ষা। যন্ত্রণা। প্রথমটার মধ্যে আনন্দের হাতছানি থাকে। প্রতীক্ষার শেষে থাকে দুটো জিনিস—আনন্দ অথবা দুঃখ। ঠিক কোনটা মিলবে তা সবসময় আগাম বোঝা যায় না। অনুমান নাও মিলতে পারে। তবু সকলেই প্রতীক্ষার দ্রুত অবসান কামনা করে। কিন্তু বিলম্বিত প্রতীক্ষায় আনন্দ নষ্ট হওয়ারই আশঙ্কা থাকে। প্রতীক্ষা, অধিক বিলম্বে যন্ত্রণারই নামান্তর হয়ে উঠতে পারে।
গত রবিবার। ইএম বাইপাস লাগোয়া একটা শপিংমলে প্রবেশের মুখ। সেখানে এক তরুণের মুখ অনেকের নজর কেড়ে থাকবে। মুখে মাস্ক। ফেসশিল্ড। দু’হাতে গ্লাভস। বয়স একুশ-বাইশ। বেশ ঝকঝকে। মন বলছে, মাস কয়েক আগে হলে তাঁকে নির্ঘাত কোনও নামী কলেজ ক্যাম্পাসে আবিষ্কার করা যেত। কিংবা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহুতল শপিংমলে। কিংবা মাল্টিপ্লেক্সের ফুটকোর্টে বান্ধবীর সামনে বসে ন্যাচারাল’স আইসক্রিমে কামড় বসাচ্ছেন। কিংবা রবীন্দ্রসদনের কোনও এক ফাঁকা জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড় করছেন পোস্ট মডার্ন কবিতার কিছু ছত্র আর গিটার নিয়ে। কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে নজর করলাম যে, তাঁর গায়ের কাছে একটি রেসিং বাইসাইকেল স্ট্যান্ড করা। হ্যান্ডেলের দু’দিকে দু’টো বড় ব্যাগ ঝোলানো। হ্যান্ডেলের সামনে একটা প্লাকার্ড। তুলিতে ইংরেজিতে লেখা ‘হোম মেড স্যান্ডুইচ। চিকেন। ভেজ’। মিনিট কয়েক তাঁকে ফলো করলাম। কিনতে আগ্রহী কাউকেই দেখলাম না। বেশিরভাগকেই মনে হচ্ছে—‘খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না’। নজর দ্রুত সরে যাচ্ছে মলের ভিতরে ‘নো মাস্ক, নো এট্রি’ নোটিসে। কাছে গিয়ে কিছু প্রশ্ন রাখলাম। জানা গেল—কাছাকাছি একটি নামী হাউজিংয়ের বাসিন্দা। তাঁর বাবা আমেদাবাদে চাকরি করেন। কিন্তু লকডাউনের দিন কয়েক আগে বাড়ি এসে দীর্ঘদিন আটকে পড়েন। কর্তৃপক্ষের বার বার তাগাদা সত্ত্বেও যথাসময়ে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। ফ্লাইট চালু হতেই অফিসে গিয়ে শোনেন, কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগেই তাঁর রিপ্লেসমেন্ট পেয়ে গিয়েছেন। অতএব আপাতত তাঁকে প্রয়োজন নেই। বস বেশ ভদ্র ভাষায় তাঁকে বলেছেন, ‘প্রয়োজন হলে খবর দেব। আপনি আপাতত আসতে পারেন’! ছেলেটি কলকাতার একটি নামী কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্সসহ বি-এসসি পড়েন। ফাইনাল ইয়ার। একটি নামী সংস্থার সঙ্গে পাকা কথা হয়ে আছে। ডিগ্রি কম্পিলিট হলেই চাকরিতে জয়েন করবেন। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চার লাখ টাকার প্যাকেজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পরীক্ষাটাই হল না। কবে হবে, কিংবা আদৌ হবে কি না জানা নেই। চাকরিটাই ঝুলে রয়েছে। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা, চাকরিটা তাঁর জন্যে আদৌ অপেক্ষা করবে কি? বাবার করুণ মুখের সঙ্গে তাঁর মুখটাও মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে না তো! খুব ভয় পাচ্ছেন অনেক স্বপ্ন দেখা সদ্য যুবাটি।
নাম না-জানা এই তরুণের প্রতীক্ষা কিন্তু যন্ত্রণায় পর্যবসিত হয়ে উঠেছে। অথচ, এজন্য তাঁর দায় কিছু নেই। এই তরুণ একা নন। সারা দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার পরীক্ষার্থী এমনই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্নাতক/স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পর্বের রেজাল্ট বের করে দেওয়ার ‘অ্যাডভাইসরি’ দিয়েছিল। নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে একাধিক ইউনিভার্সিটি রেজাল্ট বেরও করে দিয়েছে। তবে, কলকাতাসহ বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি দোটানায়। আবার যেসব প্রতিষ্ঠান রেজাল্ট বের করল, তারাও খুব স্বস্তিতে নেই। ভয় পাচ্ছে, শেষমেশ ইউজিসি এসব ডিগ্রির স্বীকৃতি অগ্রাহ্য করলে কী হবে! সবচেয়ে করুণ অবস্থা পরীক্ষার্থীদের। রেজাল্ট পেয়েও তাঁরা কী করবেন? প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝোলানো ডিগ্রি নিয়ে কোন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবেন তাঁরা? কোন প্রতিষ্ঠানই-বা চাকরি দেবে এইসব ডিগ্রিধারীদের। ব্যাপারটার সঙ্গে বাহাত্তরের গোলমেলে যুগের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেক প্রবীণ বাঙালি।
এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করতে হয় দিল্লি ইউনিভার্সিটির (ডিইউ) কথা: ইউজি এবং পিজি ফাইনাল ইয়ারের জন্য সোমবার দেশের মধ্যে প্রথমবার অনলাইন ওপেন বুক এগজাম নিতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়েছে। সেদিনই নগ্ন হয়ে গিয়েছে খোদ রাজধানীর ছাত্রছাত্রীদের কাছেও উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও কতটা মহার্ঘ! অনেকে জানেন, হাইকোর্ট ঘুরে এসে তবে এই পরীক্ষা নিচ্ছে ডিইউ। কিন্তু, ব্যাপারটা আলটিমেটলি কী দাঁড়াবে শ্রীরামচন্দ্র ছাড়া কেউ জানেন বলে মনে হচ্ছে না। মহামারী পরিস্থিতিতে প্রচলিত পদ্ধিততে পরীক্ষা নেওয়া যে অসম্ভব সেটা সকলে বোঝেন। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিকল্প পথের সন্ধানে জুনের প্রথমার্ধেই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছিল। একদল পরীক্ষার্থীর তরফে দায়ের হওয়া মামলার সুপ্রিম কোর্টে বিচার পর্ব থেকে জানা যাচ্ছে, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র সরকারও এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে। দিল্লি ১১ জুলাই এই মর্মে একটি নির্দেশও জারি করেছিল। কিন্তু ইউজিসি অন্তত ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। বলেছে, সমস্ত পরীক্ষা ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। অনলাইন/অফলাইন কিংবা ব্লেন্ডেড মোডে—যেভাবে সম্ভব পরীক্ষা নিতেই হবে।
যেসব রাজ্য এই পরিস্থিতে পরীক্ষা নিতে অপারগ তারা সর্বোচ্চ আদালতকে বলেছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনবলেই পরীক্ষা না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে। ১০ আগস্ট শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট ইউজিসির কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে। তাদের জবাব দিতে হবে আগামীকাল, শুক্রবার। অন্যদিকে, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং ছিল ১০ আগস্ট। কমিটি সূত্রের খবর, তারাও ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে। তবে তাদের সুপারিশ, পরীক্ষা হোক বছরের শেষদিকে।
পরীক্ষা নিয়ে অনড় মনোভাব প্রসঙ্গে ইউজিসি দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলেছে। তাদের বক্তব্য—আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সিঙ্গাপুর-সহ অনেক দেশই যেভাবে সম্ভব পরীক্ষা নিয়েছে অথবা নিচ্ছেই। গ্লোবাল কেরিয়ারের কথা মাথায় রেখে ভারতও অন্যথা করতে পারে না। ২৯ এপ্রিল তারা গাইডলাইন ইস্যু করে ১৫ জুলাইয়ের ভিতরে এই পরীক্ষাগুলো নিতে বলেছিল। তবু, অনেক রাজ্য বা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিস্থিতির শিকার, ইউজিসি তা অস্বীকার করেনি। তাই ইউজিসি ৬ জুলাই রিভাইজড গাইডলাইন ইস্যু করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই পরীক্ষাগুলো নিতে বলে। তারপরেও যাঁদের পক্ষে এই পর্বে পরীক্ষায় বসা মোটেই সম্ভব হবে না, পরে সুযোগমতো তাদের জন্য ‘স্পেশাল এগজা’' নিতে হবে। ১৮ জুলাই প্রকাশিত এক প্রেস রিলিজে ইউজিসি বলেছে, দেশের ৯৪৫টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে ৭৫৫টির এই সংক্রান্ত স্টেটাস তারা পেয়েছে। ওই ৭৫৫টির মধ্যে ১৯৪টি ইতিমধ্যেই পরীক্ষা নিয়েছে এবং ৩৬৬টি নেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
তত্ত্ব ও তথ্যের বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে, হাজার হাজার ছেলেমেয়ে কিন্তু এই ‘হাঁ’ এবং ‘না’-এর জাঁতাকলে যাকে বলে একেবারে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। এক পরীক্ষার জন্য কতবার প্রস্তুতি নিতে পারেন তাঁরা? একে লকডাউেনর ডিপ্রেশন, তার উপর এই নিত্য দ্বন্দ্ব। শিক্ষা বিভাগের কর্ণধাররা নিজেদের বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন, আজকের পরিস্থিতিতে পড়লে তাঁদের কী দশাটা হতো? শিক্ষা তো যৌথ তালিকার বিষয়। তাহলে এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর এক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের এতটা অভাব ঘটল কী কারণে? কেন্দ্র-রাজ্য শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কটা নতুন কিছু নয়। সঙ্কীর্ণতার রাজনীতি যতদিন না দূর হয় ততদিন এসব বহাল থাকবে। তবু, একবার তো ভাবা দরকার, এ কোনও বন্যাত্রাণের টাকা মঞ্জুর কিংবা রেল প্রকল্পের কৃতিত্বে ভাগ বসানোর মতো বারোমাস্যা নয়। বহু ছেলেমেয়ের স্বপ্নপূরণের ব্যাপার। জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের সবচেয়ে সেরা কিংবা শেষ সুযোগটাই লুকিয়ে রয়েছে এর ভিতরে। এই ছেলেমেয়েরা আমার আপনার সবার বাড়িতে রয়েছেন। বিজেপি, তৃণমূল, শিবসেনা, ডিএমকে, জেডিইউ, কংগ্রেস, সিপিএম, এসইউসি সবার বাড়িতে। তাহলে এমন একটি বিষয়ে কেন সহমতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না? ফয়সালার জন্য আদালতে গিয়ে হত্যে দেওয়াটাই তো বড় দুর্ভাগ্য। করোনা পরিস্থিতিটা তো হঠাৎ এই জুলাই-আগস্টে উদয় হওয়া সমস্যা নয়। এমনও নয় যে সদ্য জানা গেল—ব্যাপারটা মিটতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ইউজিসি এক তরফা গাইডলাইন/নির্দেশিকা জারি না করে রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে আন্তরিকভাবে আলোচনা করতে পারত না কি? প্রয়োজনে বার বার করাই উচিত ছিল। আশঙ্কা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দেওয়া হল না তো? শিখণ্ডী ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষার নয়া কৌশল হয়ে উঠল না তো এই অবাঞ্ছিত দ্বন্দ্ব? এসব প্রশ্ন এড়ানো যাবে না।
বিবাদ করা কিংবা দোষ-গুণ বিচারের সময় এখন নয়। অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করার সময় যে ঘরের নির্দোষ ছেলেমেয়েদের সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা তীব্র যন্ত্রণায় রূপান্তরিত হয়েছে। আগামীকাল সুপ্রিম কোর্ট কি তাঁদের
প্রতীক্ষা এবং যন্ত্রণার যুগপৎ অবসান ঘটাতে পারবে? সারা দেশের শিক্ষানুরাগী মহলের আগ্রহ রইল।
অন্ধকারের অন্তরেতে
অশ্রুবাদল ঝরে
সন্দীপন বিশ্বাস

 আবার একটা স্বাধীনতা দিবসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। কয়েক দিন পরই সারাদেশ এই করোনার মধ্যেও মেতে উঠবে উন্মাদনায়। পতাকা তোলা, বীর সেনানীদের স্মরণের মধ্য দিয়ে আমরা দিনটি পালন করব। জাতীয়তাবোধের আবেগে রোমাঞ্চিত হব। বিশদ

12th  August, 2020
মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি
২০২০ কেন বিপজ্জনক

তরুণকান্তি নস্কর

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ নিয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা নজিরবিহীন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁদের মাথায় যে নতুন একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করার চিন্তা কাজ করছে তা বোঝা যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকেই নানা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল।
বিশদ

12th  August, 2020
পরিষেবা আর ব্যবসায়
কিছু ফারাক তো আছে!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলে এসেছেন, বাস বা ট্যাক্সিভাড়া হোক ফ্লেক্সিবল। মানে, তেলের দামের সঙ্গে ভাড়াও ওঠানামা করবে। তখন অবশ্য কেউ তাতে সাড়া দেননি। আর এখন চলছে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য কান্নাকাটি। তাঁরা ভাবছেন না... লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ কর্মহারা।
বিশদ

11th  August, 2020
 ভারতের সাধনা, শাস্ত্র, সংস্কৃতি সবই
শ্রীকৃষ্ণ মহিমায় পুষ্ট, বিকশিত
চৈতন্যময় নন্দ

দেবকীর প্রার্থনায় ভগবান তাঁর ঐশ্বরিকতা সংবরণ করে প্রকৃত শিশুর রূপ ধারণ করলেন এবং বসুদেবকে নির্দেশ দিলেন তাঁকে নিয়ে নন্দগোপের ঘরে রেখে আসতে। এরূপ আদেশ পেয়ে বসুদেব শিশুসন্তানকে স্কন্ধে নিতেই আপনা আপনিই লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ কপাটের দরজা খুলে গেল।
বিশদ

11th  August, 2020
মনমোহন সিংয়ের পরামর্শও
উপেক্ষা করছে সরকার
পি চিদম্বরম

 ৩ আগস্ট, ২০২০। দ্য হিন্দু। প্রবীণ চক্রবর্তীর সঙ্গে যৌথভাবে ড. মনমোহন সিং একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বিষয়: ভারতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন। তাতে তিনটি অভিমুখ ছিল: সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানো।
বিশদ

10th  August, 2020
নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির হাত ধরে
সমগ্র স্কুলশিক্ষা কোন দিকে যাচ্ছে
অরিন্দম গুপ্ত

এই প্রথম জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এটি শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দীর্ঘদিনের দাবি। এটি হতে চলেছে। এর চেয়ে স্বস্তি ও আনন্দের খবর আর কী হতে পারে?
বিশদ

10th  August, 2020
রাম রাজনীতির উত্তরাধিকার
হিমাংশু সিংহ

রামমন্দির নির্মাণ শেষ হলে এদেশের গেরুয়া রাজনীতির সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্রটাও কিন্তু রাতারাতি ভোঁতা হতে বাধ্য। যে স্বপ্নকে লালন করে তিন দশক দিনরাত পথচলা, তার প্রাপ্তি যেমন মধুর, তেমনই সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, এর পর কী? বিশদ

09th  August, 2020
দল বদলের জেরে কুশীলবরাই হয়ে যান পুতুল
তন্ময় মল্লিক

রাজনীতিতে দল বদল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, যাঁরা দল বদলান, তাঁরা ‘ঘরের ছেলে’র মর্যাদা হারান। গায়ে লেগে যায় ‘সুবিধাবাদী’ তকমা। পরিস্থিতি বলছে, তাতে রাজনীতির কুশীলবরা‌ই হয়ে যান হাতের পুতুল। বিশদ

08th  August, 2020
রামমন্দিরের পর হিন্দুত্ববাদী
রাজনীতি কোন পথে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই উচ্চারণ করেছেন একাধিকবার ‘জয় সিয়ারাম’ ধ্বনি? উগ্র হিন্দুত্ব থেকে এবার কি অন্য নতুন এক সমন্বয়ের হিন্দুত্বে ফিরতে চান তিনি? সনাতন ভারতবর্ষ আশা করবে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে তিনি আগামীদিনে চালিত করবেন সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ আর ঐক্যের পথে।
বিশদ

07th  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

06th  August, 2020
সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
একনজরে
 পুজোর আগে কাজের চাপে স্নান-খাওয়ার সময় থাকত না জাঙ্গিপাড়া, রাজবলহাট সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তাঁতশিল্পীদের। করোনার কোপে তাঁরা আজ কাজ হারিয়ে কেউ রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে, কেউবা ফেরিওয়ালা। ...

 পেটে দানাপানি নেই। সঙ্গে দোসর টানা হাঁটার নিদারুণ ক্লান্তি। প্রবল গরমে ফলস্বরূপ রাস্তায় ঘটেছে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু ঠিক কত পরিযায়ী শ্রমিক এভাবে শয়ে শয়ে ...

 চেন্নাইয়ে জন্মেছিলেন দুই বোন। নিজেদের সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের যোগ রাখতে কমলা এবং তাঁর বোন মায়ার ‘সংস্কৃত’ নাম রেখেছিলেন তাঁদের মা। ছোটবেলায় কমলার জীবনের অনেকটা অংশ ...

 কলকাতার নামীদামি, সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১৭টি হাসপাতাল তাদের বর্জ্য পদার্থ (বায়ো-মেডিক্যাল ওয়েস্ট) নিয়ম মেনে সরাচ্ছে না। এমনকী তরল বর্জ্য পরিশোধনেও ব্যাপক গাফিলতি রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হাতি দিবস
১৮৪৮: সাহিত্যিক তথা ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তর জন্ম
১৮৮৮: টেলিভিশনের আবিস্কারক জন বেয়ার্ডের জন্ম
১৮৯৯: ইংরেজ পরিচালক স্যার আলফ্রেড হিচককের জন্ম
১৯১০: আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মৃত্যু
১৯১১: সমাজসেবিকা ও রাজনীতিবিদ ড.ফুলরেণু গুহর জন্ম
১৯২৬: কিউবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম
১৯৩২: পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্যর মৃত্যু
১৯৩৩: অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার জন্ম
১৯৩৬: স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতের বিপ্লববাদের জননী হিসাবে পরিচিতা মাদাম কামার মৃত্যু ।
১৯৪৬: ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলেসের মৃত্যু
১৯৬৩: অভিনেত্রী শ্রীদেবীর জন্ম
১৯৭৫: পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের জন্ম
১৯৮৭: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
২০১৮: রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৭৫ টাকা ৯৯.১৪ টাকা
ইউরো ৮৬.১০ টাকা ৮৯.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,৩১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৫৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০, নবমী ১৯/১৬ দিবা ১২/৫৯। রোহিণীনক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৬/২৬, সূর্যাস্ত ৬/৬/২৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৯ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২৮ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০, নবমী দিবা ৯/৪৫। রোহিণীনক্ষত্র রাত্রি ৩/২৫। সূর্যোদয় ৫/১৫, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৬ গতে ৬/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৬ মধ্যে।
 ২২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। বৃষ: গৃহে শুভ কাজ হবে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব হাতি দিবস১৮৪৮: সাহিত্যিক তথা ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তর জন্ম ১৮৮৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৯৭
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৯৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের ...বিশদ

09:45:41 PM

মুম্বইয়ে বাড়ির একাংশ ভেঙে মৃত ১, জখম ৪
মুম্বইয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি বাড়ির একাংশ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ...বিশদ

07:38:59 PM

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়া রেকর্ড মোদির
অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন মসনদে থাকার রেকর্ড গড়লেন ...বিশদ

07:34:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৮৩৫ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,৮৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

06:51:17 PM