কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
যদিও দুর্ঘটনার জেরে এই মৃত্যু ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফ। ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন জায়গায় পথ-নাটিকার মাধ্যমে রেললাইন পার হওয়া নিয়ে সতর্ক করছে। অনেক ক্ষেত্রেই রেলওয়ে ক্রসিংগুলিতে প্রতীকী ‘যমরাজ’ সাজিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। বিশেষ করে এই চাষের মরশুমে রেললাইনে বহু চাষির মৃত্যু হয়। তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতেই জোর দিয়েছে রেল। আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন, মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় যথেষ্ট কম। তবুও আমরা চাইছি, যাতে মানুষ আরও সচেতন হন। তাই রেললাইন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় পথ-নাটিকার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন স্টেশনে চির পরিচিত ব্যস্ততার সেই পরিবেশ এখন অতীত। সৌজন্যে কোভিড-১৯ ভাইরাস। কবে সেই পুরনো ছবি ফিরে আসবে তারই অপেক্ষায় রয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এখন নাম মাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছে। তাই রেল ট্র্যাকেও সেই ব্যস্ততা নেই। বিধ্বস্ত রেল পরিষেবার মধ্যেও রেললাইনে দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মার্চ
মাসে আসানসোল ডিভিশনে ২৪ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছেন। একইভাবে এপ্রিল মাসে ৫ জন, মে মাসে ১০, জুনে ৮ ও জুলাই মাসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্য দুটি কারণ উঠে আসছে। ট্রেন যে চলছে না, তা প্রায় সবাই জেনে গিয়েছেন। তাই অসচেতন হয়েই অনেকে রেললাইন পার হচ্ছেন। অনেকে রেললাইন ধরে হাঁটছেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় মালগাড়ি দূরন্ত গতিতে ছুটছে। সেটাও অনেকক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তবে, গত বছর এই পাঁচ মাসে আসানসোল ডিভিশনে রানওভারে মৃত্যু হয়েছিল ১৫১ জনের। কিন্তু এবার পুরোদমে ট্রেন না চললেও এতগুলি দুর্ঘটনা ঘটায় বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখতে নারাজ আরপিএফ। জানা গিয়েছে, আসানসোল ডিভিশনের ক্ষেত্রে রানওভারে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে
অণ্ডাল-সাঁইথিয়া লাইনে। বিশেষ করে এই সময়ে চাষি বা খেতমজুররা রেললাইনের পাশে মাঠে চাষ করতে যান। তাঁরাই বেশি এই ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কালনা গেটে ঝুঁকির পারাপার।- নিজস্ব চিত্র