ফিরদৌস হাসান, শ্রীনগর: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উপত্যকা। কোথাও আচমকা গুলি ছুঁড়ল জঙ্গিরা। আবার কোথাও চলল সেনা-জঙ্গি সঙ্ঘর্ষ। বুধবার দিনের প্রথম ঘটনাটি ঘটে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। সেখানে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিকেশ হয় এক শীর্ষ হিজবুল জঙ্গি। তবে এই অভিযানে এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। অপর এক জওয়ান আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার ভোরবেলা পুলওয়ামার কামরাজিপুরায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর আসে। তড়িঘড়ি পুলিস, সেনা ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেখানে পৌঁছতেই জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে। সেনাও এর পাল্টা জবাব দেয়। সংঘর্ষ চলাকালীন জখম হন দুই জওয়ান। তাঁদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মধ্যে একজন মারা যান। অন্যদিকে দু'পক্ষের গুলির লড়াই থামার পর জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হলে আজাদ লালহারি নামে ওই শীর্ষ হিজবুল কমান্ডারের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত জোগানোর পেছনে আজাদের বিশেষ হাত রয়েছে। গত মে মাসে পুলওয়ামায় নাকা চেকিং চলার সময় যে জঙ্গিহানা হয়, তার অন্যতম চক্রী আজাদ। সেই হামলায় অনুপ সিং নামে এক পুলিস কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই আজাদের খোঁজে উঠেপড়ে লেগেছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিস।
অন্যদিকে পুলওয়ামার পাশাপাশি বারামুলায় সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ করে জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিতে এক জওয়ান আহত হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, গাড়িটি বারামুলা থেকে গুলমার্গ যাচ্ছিল। সোপারের হাইগাম ক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছতেই জঙ্গিরা অতর্কিতে হামলা করে। কাছের একটি ফলের বাগানে জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। সেখান থেকেই তারা গুলি চালায়। এতে আহত হন ১৫ গারওয়াল রাইফেলসের এক জওয়ান। এরপর তাঁকে জলদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোপোর থানার এসএসপি জাভিদ ইকবাল জানিয়েছেন, জখম সেনার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পাশাপাশি বুধবার একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস।