কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
মালদহ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অশোক দাস বলেন, আমরা এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছি। মূল রাস্তা জলে থইথই করছে। ফল ও সব্জিবাহী লরি দীর্ঘদিন ধরে এই পথ দিয়ে বাজারে আসতে পারছে না। আমরা বারবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বন্ধ রাখার প্রস্তাব উঠে এসেছে সংগঠনের সদস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই। আমরা সেই প্রস্তাব এখন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এই রাস্তা লরি চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না হলে ব্যবসা বন্ধের পথে হাঁটা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।
নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি সব্জি ও ফলবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রবেশ করে। এই বাজারে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন হাজার খানেক মানুষ। নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা রাজকুমার জয়সোয়াল বলেন, মূল রাস্তা দিয়ে ঢুকতে না পারায় পিছনের দিকের একটি অপ্রশস্ত রাস্তা দিয়ে কোনওমতে পণ্যবাহী লরি বাজারে আসছে। কিন্তু সেই রাস্তাটির অবস্থাও করুণ। মাঝেমধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে আসার সময় খানা খন্দে আটকে যাচ্ছে লরির চাকা। একেকটি লরিতে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ টন মাল থাকে। কোনওভাবে ওই সরু রাস্তায় লরি বসে গেলে চরম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অন্যান্য লরির যাতায়াত দীর্ঘক্ষণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন রেগুলেটেড বাজার কমিটির সেক্রেটারি অনুপম মৈত্র। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত ওই রাস্তা তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। যে মূল রাস্তাটির বেহাল দশা, সেটি হবে কংক্রিটের। আরও দু’টি রাস্তা তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে। মোট বাজেট প্রায় এক কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁরা শেষ পর্যন্ত ব্যবসা বন্ধ রাখার মতো চরম পথে হাঁটবেন না।