কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
করোনা আবহে এতদিন বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের ফি জমা দেওয়ার নির্দেশিকা ঘিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়েছে। এবার সরকার পোষিত স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধেও কার্যত একই ধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অভিভাবকদের বক্তব্য, একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ভর্তি ফি (উন্নয়ন বাবদ) ২৪০ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু, সরকারি নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করে জেলার সিংহভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষ বাড়তি ফি নিচ্ছে। সরস্বতী পুজোর চাঁদা, ফ্যানের খরচ, টিউশন ফি ইত্যাদি নানা ধরনের খরচ দেখিয়ে সেই বাড়তি টাকা নিচ্ছে স্কুলগুলি। ল্যাবরেটরি ফি বাবদ এক এক স্কুল আলাদা আলাদা টাকা নিচ্ছে। সবমিলিয়ে ভর্তি ফি কোথাও ৪৫০, কোথাও ৬০০, আবার কোথাও ৮০০ টাকা।
রায়গঞ্জ শহরের একটি নামকরা স্কুলে একাদশে ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। কর্ণজোড়ার একটি স্কুলে ভর্তি ফি ৮০০ টাকা। কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি, ইসলামপুর, ইটাহার, চোপড়া, জেলার সব এলাকার স্কুলগুলিতে সরকারি নির্ধারিত ফি-এর দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানান, লকডাউনে বহু পরিবার আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেইসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা বাড়তি ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
ডিএসওর জেলা সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল, এবছর ভর্তি ফি মকুব করা হোক। স্কুল, কলেজ সর্বত্র ফি ছাড়াই ভর্তি প্রক্রিয়া চলুক। কলেজগুলিতে আরও বেশি টাকা লাগছে। কেউ অনার্স বিভাগে ভর্তি হলে ন্যূনতম পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগছে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে অনেকেই কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু স্কুল ফি কমিয়েছে। যেসব স্কুল কর্তৃপক্ষ ফি কমায়নি, তাদের নোটিস পাঠানো হবে।