কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
অন্যান্য বছর জন্মাষ্টমীর পরের দিন পুরাতন মালদহের বিবেকানন্দ মোড়ের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে দু’দিন ব্যাপী নন্দ উৎসবের আয়োজন করা হতো। ধুমধাম করে সেই উৎসবে বাইরের জেলা ও ব্লকগুলি থেকে বিভিন্ন কীর্তনের দল আসত। সেই শিল্পীদের কেউ সাজতেন কৃষ্ণ, কেউ বা নন্দরাজা কিংবা মা যশোদা সেজে অগণিত ভক্তের সামনে নাট্যরূপে গোপালের জন্মলীলা গুনকীর্তন বর্ণনা করতেন। পুরাতন মালদহের পাশাপাশি চাঁচলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে মহা সমারোহে নন্দ উৎসব পালিত হতো। দইয়ের হাঁড়ি ভাঙার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ছাড়াও চাঁচল সদরে শ্রীকৃষ্ণের ছবি সামনে রেখে বের করা হতো ট্যাবলো। খোল-করতাল সহ নাম কীর্তনের সঙ্গে শোভাযাত্রা বের হতো। কিন্ত এবার কোথাও কোনও অনুষ্ঠানে হচ্ছে না। শুধু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোনওমতে জন্মাষ্টমীর পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।
পুরাতন মালদহের রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির সহ সম্পাদক অজয় হালদার বলেন, এবার করোনার জন্য জন্মাষ্টমী ও নন্দ উৎসব ঘিরে জাঁকজমক করে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। অন্যান্যবার বিভিন্ন দলের শিল্পীরা ভগবানের লীলা কীর্তন করতেন। মন্দির সেজে উঠত বাহারি আলোকসজ্জায়। অগণিত ভক্তসমাগম হতো মন্দির প্রাঙ্গনে। কিন্তু ওই দলগুলি এবার আর আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাই নন্দ উৎসব হচ্ছে না। তবে মন্দিরের মধ্যেই জন্মাষ্টমীতে ভগবত পাঠ, কীর্তনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চাঁচলের সম্পাদক মিন্টু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাঁচলে নন্দ উৎসবের আয়োজন করা হতো। শোভাযাত্রা বের হতো, কীর্তনও হতো। প্রসাদ বিতরণ করা হতো। কিন্তু এবার নগর কীর্তন সহ কোনও অনুষ্ঠান হবে না। চাঁচলের রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কোনওমতে উৎসব হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি সহ বিভিন্ন বাজারে তাল কিনার হিড়িক পড়ে যায়। এদিন একেকটি তাল বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা দরে। পাশাপাশি চড়া ছিল ফলের বাজার। আপেল, আঙুর, কলা সহ বিভিন্ন ফল চড়া দাম দিয়ে কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তদের পকেট টান পড়ে। এদিন আপেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা কিলো দরে। আঙুরের দাম ছিল ১০০ টাকা কিলো। বেদানা বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কিলোয়।
মঙ্গলবাড়ি বাজারের ফল বিক্রেতা রাজু সাহা, সঞ্জীব হালদার বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে তাল ভালোই বিক্রি হয়েছে। তালের আকার অনুযায়ী দামের খানিক হেরফের হয়েছে। তবে অন্যান্য ফলের দাম বাড়ায় অনেকেই খুব বেশি ফল কিনতে পারেননি। অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।