কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অতনু মণ্ডল বলেন, জলস্তর কম থাকলে জল নিষ্কাশনের পাম্পগুলি কাজই করতে পারবে না। জলস্তর বেশি থাকলে তবেই সেগুলি কাজ করবে। যদি জলস্তর বাড়ে, তাহলে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পাম্প লাগিয়ে এলাকায় জমা জল বের করে দেব। আমাদের কর্মীরা সেজন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারতে এসেছিলেন বিনোদ কামেত। তিনি বলেন, বৃষ্টির জন্য সেখানেই আটকে গিয়েছিলাম। তারপর জল ঠেলে ঠেলে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। দেখলাম, বৃষ্টি কমার অনেকক্ষণ পরেও শহরের অনে জায়গা থেকেই জল নামেনি। কালেক্টরেট অফিসের সামনেই জমা জল নিষ্কাশন করা হচ্ছে না। তাহলে শহরের অন্যত্র কিভাবে সমস্যা সমাধান হবে? প্রশাসনের উচিত এই সমস্যার সমাধান করা।
স্থানীয় বাসিন্দা পূর্বালী সরকার বলেন, এদিন দুপুরে বাজার করতে গিয়ে বেরিয়ে আটকে পড়েছিলাম বৃষ্টিতে। বাড়ি ফেরার সময় দেখি শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় এত জল জমে রয়েছে। বাধ্য হয়ে নোংরা জল ঠেলে বাড়ি ফিরতে হল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতেও যদি এভাবে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তাহলে অলিগলির যে কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। পুরসভার তরফে নাকি জল বের করতে পাম্প বসানোর কথা। অথচ সেই পাম্পগুলিকেও একদিনও কাজ করতে দেখা গেল না।
প্রসঙ্গত, বুধবার বালুরঘাট শহরে রাস্তা ও বাজারগুলোতে প্রচুর মানুষের ভিড় দেখা যায়। হঠাৎ দুপুর ২টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করে। বালুঘাট শহরের রঘুনাথপুর, ত্রিধারা, থানা মোড়, জেলার প্রশাসনিক ভবন চত্বর, কোর্ট মোড়, বিশ্বাসপাড়া, বাস স্ট্যান্ড সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে প্রায় হাঁটুজল জমে। এছাড়াও শহরের সাহেব কাছারি, বঙ্গি, বাদুড়তলা, কুণ্ডু কলোনি, চকভৃগু, ছিন্নমস্তা সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ও মূল রাস্তায় জল থাকায় সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ।
বৃষ্টিতে বালুরঘাট শহরে জল জমার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পুরসভার তরফে প্রায় ১০টি পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের নিকাশি নালাগুলি সাফ করেছে পুরসভা। কিন্তু তাতে যে খুব একটা লাভ হয়নি, তা এদিনের জলছবি থেকেই পরিষ্কার।