কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান ও উপপ্রধান বহু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চাঁচল পঞ্চায়েতের প্রধানের অফিস ঘর কার্যত বন্ধ থাকায় অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, পঞ্চায়েতে পরিষেবা স্বাভাবিকই রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অফিসের সময় এলে কখনও তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধান বা উপ প্রধান যে কাজগুলি করতে পারেন, অফিসের অন্য কর্মীরা সবসময় সেগুলি করতে পারেন না। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেলা বিবি বলেন, ভাতার জন্য দিন কয়েক ধরে পঞ্চায়েতে এসে ঘুরে চলে যাচ্ছি। প্রধান বা উপপ্রধান, কাউকেই গত কয়েকদিন ধরে পাচ্ছি না।
এবিষয়ে চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, পঞ্চায়েতের পরিষেবা স্বাভাবিকই রয়েছে। পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ জানায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আজমেরী খাতুনের স্বামী মোক্তার হোসেন বলেন, বাবার করোনা হওয়ায় প্রধান অফিসে যাচ্ছেন না। উপপ্রধানের যাবতীয় দায়িত্ব সামলানোর কথা। আবার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের উৎপল তালুকদার বলেন, প্রধানের শ্বশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাই ভালো। গত কয়েকদিন ধরে অফিসে কাজ দেখভাল করতে পারিনি। তবে বাড়িতে বসেই কাগজপত্রে সই করছি। খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়লে তবেই অফিসে যাব।
পঞ্চায়েত অফিসের কর্মচারীরা বলেন, করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার আগের দিনই প্রধানের শ্বশুর পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন। অফিসে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় ভুগছি আমরাও।
পঞ্চায়েত অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান ও উপপ্রধান অফিসে না আসায় এলাকার বাসিন্দারা রেসিডেনশিয়াল সার্টিফিকেট পেতে সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই ভাতা বা অন্যান্য কাজের জন্য ওই সার্টিফিকেট নিতে পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও এলাকার নিকাশি সমস্যা, রাস্তাঘাট সংস্কার সহ বিভিন্ন টেন্ডার প্রসেস করার ক্ষেত্রেও প্রধানের স্বাক্ষর প্রয়োজন। প্রধান না থাকলে উপপ্রধানের স্বাক্ষর থাকলেও অবশ্য কাজ চলে। কিন্তু এক্ষেত্রে তো দু’জনের একজনও আসছেন না।