কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
নেপাল সীমান্তবর্তী শিলিগুড়ি মহকুমার ধামভিটা গ্রামে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সমেত ধৃত যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিস বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ধৃতকে পুলিস বেশ কয়েকবার জেরা করে। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের দাদার নামে কিছু চাষের জমি রয়েছে। দু’জনেই জমিতে চাষাবাদ করে। এলাকায় তারা কৃষক হিসেবেই পরিচিত। এই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের বাড়িতে গোডাউন তৈরি করেছিল। তাতে মজুত করেছিল রেশনের চাল, ডাল, আটা ও গম। তারা সংশ্লিষ্ট খাদ্যসামগ্রী কম দামে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল। একইসঙ্গে তারা ডিজেল সহ তেলও মজুত করেছিল। সেগুলি তারা নেপালে পাচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করতে বলে মনে হচ্ছে।
পুলিস ও গোয়েন্দাদের বক্তব্য, কৃষক হলেও ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলা রয়েছে। সম্ভবত সে ও তার দাদা সীমান্তে চোরাচালনের সঙ্গে জড়িত কোনও চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। সেইজন্যই তারা গোডাউন তৈরি করে রেশনের খাদ্যসামগ্রী মজুত করেছিল। এই দাদা-ভাই পাচারের নতুন টিম তৈরির চেষ্টা করছিল বলে মনে হচ্ছে।
দার্জিলিং জেলা পুলিসের ডিএসপি (গ্রামীণ) অচিন্ত্য গুপ্ত অবশ্য বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত ওই ঘটনা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ১৫৭৫ কেজি খাদ্যসামগ্রী সমেত ধামভিটার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতের নির্দেশে ধৃতকে হেফাজতে নেয় পুলিস। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিস ধৃতের দাদাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিসের এক অফিসার বলেন, খাদ্য দপ্তর মানতে না চাইলেও ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খাদ্যসামগ্রী রেশনের বলেই মনে হচ্ছে। সেইসব খাদ্যসামগ্রী রেশনের উপভোক্তা ছাড়া আর কাদের কাছ থেকে অভিযুক্তরা সংগ্রহ করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ধৃতের দাদার খোঁজ চলছে। শীঘ্রই সে ধরা পড়বে বলে আশা করছি।
এদিকে ওই ঘটনার সঙ্গে রেশন ব্যবস্থার যোগাযোগ নেই বলে খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে। এদিন জেলার খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনও ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটারের ঘর থেকে ওই খাদ্যসামগ্রী পাচার হয়েছে বলে তথ্য মেলেনি। কাজেই ওই ঘটনা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন ওই ঘটনা নিয়ে যা করার পুলিস করবে। পুলিস আমাদের ইমেল আইডি নিয়েছে। কোনও প্রয়োজন পড়লে তারা যোগাযোগ করবে। তাদেরকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।