আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোমবার ইরান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ঘন জঙ্গলে প্রেসিডেন্টের কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। রাইসি সহ কপ্টারের সব যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরে রাইসি, বিদেশমন্ত্রী ও অন্য আধিকারিকদের দেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মনেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। ইরান সরকার জানিয়েছে, পাঁচদিনের শোক পালন করা হবে। আপাতত ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন। সোমবার রাইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত ও স্তম্ভিত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
৬৩ বছরের রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাইসিকে সর্বোচ্চ ধর্মগুরুর উত্তরসূরি হিসেবেও তুলে ধরা হচ্ছিল। আটের দশকে তেহরানে বিচারকের দায়িত্ব সামলেছেন রাইসি। সেই সময় কুখ্যাত ‘ডেথ কমিটি’র সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ৫ হাজারের বেশি মানুষকে বিচার না করেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জন্য রাইসির নাম হয় ‘তেহরানের কসাই’।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। দেশে কড়া শরিয়তি আইন প্রয়োগ, সরকার বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে দমনপীড়ন শুরু হয়। পুলিস হেফাজতে তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাকেও কড়া হাতে দমন করেছিলেন রাইসি। গত মাসে রাইসির নির্দেশেই ইজরায়েলে ড্রোন হামলা চালায় ইরান। কপ্টার ভেঙে পড়ার পিছনে ইজরায়েল বা আমেরিকার হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, রাইসির কপ্টার ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানে উত্সবের ছবিও দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাজি ফাটানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ইরানের বাসিন্দাদের একাংশকে। রাইসির মতো চরমপন্থী নেতার মৃত্যুতে খুশি হয়েছেন বলেও খোলাখুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত জানিয়েছেন অনেকে।