আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আটা সহ খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, বিদ্যুতের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং সহ একাধিক কারণে রাস্তায় নামে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, শাহবাজ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ‘তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী’ আনোয়ারুল হকের সঙ্গেও কথা বলেন। সেই বৈঠকের পর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আটা ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর জন্য পাকিস্তানি মুদ্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২ হাজার পাকিস্তানি টাকায় ৪০ কেজি আটা মিলবে। বর্তমানে এই দাম ৩১০০ টাকা ছুঁয়েছে। একইভাবে বিদ্যুতের দামও কমানো হয়েছে। সরকারের এই ঘোষণার পর আন্দোলনের নেতারা নোটিস খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান। তারপরেই মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নোটিস জারি করা হয়। তারপরই জেএএসি আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখার কথা জানায়। সংগঠনের প্রধান শওকত নওয়াজ মির আন্দোলনকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
ভর্তুকি নিয়ে নোটিস জারির আগেই এদিন সংঘর্ষ বাঁধে। পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল আধা সেনা। মঙ্গলবার বাহিনীর একটি কনভয় এলাকায় ছেড়ে যাচ্ছিল। পাক রেঞ্জার্সের ১৯টি গাড়ির ওই কনভয় মুজফফরাবাদের কাছে পৌঁছাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, গুলি ছোড়ে বাহিনী। মুজফফরাবাদ শহরে কনভয় পৌঁছানোর পর সেখানে ফের পাথর ছোড়া শুরু হয়। দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়তে শুরু করে রেঞ্জার্স বাহিনী। আধাসেনার কনভয়ের কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জেএএসির তরফে সংঘর্ষে মৃত বিক্ষোভকারী ও পুলিসকর্মীদের নিকটাত্মীয়দের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানানো হয়েছে।