পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কেন আলোচনা? চুরু বাসস্ট্যান্ডের কাছে ইন্দ্রমণি পার্কের দু’ পাশে দুই দলের দুই প্রার্থীর হোডিং। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিজেপির দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। পদ্মভূষণপ্রাপ্ত প্যারা ওলিম্পিকসে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার। প্রথমবারের প্রার্থী। সদ্য হয়েছেন গেরুয়া শিবিরে সদস্য। অন্যদিকে, পরপর দুবারের সাংসদ রাহুল কাসয়াঁ। সঙ্গে রফিক মাণ্ডেলিয়া। রাজস্থান কংগ্রেসের সহ সভাপতি। মজার ব্যাপার হল, এই রফিকই ২০১৯ সালে হেরে গিয়েছিলেন বিজেপির রাহুল কাসয়াঁর কাছে। এবার তিনিই হইহই করে নেমে পড়েছেন রাহুলকে জেতাতে। নিজের খরচায় চুরুর নিউ বাইপাস রোডে করেছেন অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস। যেখান থেকে চলছে চুরুর আট বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’র প্রচারপত্র বিলির কাজ। দেখা হতেই সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি মাণ্ডেলিয়া এক গাল হেসে বললেন, ‘আমার টিকিট যায় যাক। কংগ্রেস তো জিতবে। গত ২৫ বছরের খরা কাটবে।’ দলবদলু রাহুল কাসয়াঁকে দিয়েই চুরুতে চমক দেওয়ার আশায় কংগ্রেস। তাই কমল বনাম পাঞ্জার লড়াই জমে গেছে চুরুতে। রাজস্থানে দু দফার নির্বাচনে চুরুতে ভোট ১৯ এপ্রিল।
রাহুলের পুরো পরিবার বিজেপি। ঠাকুরদা দীপচাঁদ কাসয়াঁ ছিলেন সাংসদ। পিতা রাম সিং ১৯৯৯ সাল থেকে পরপর তিনবার বিজেপি সাংসদ। মা কমলাদেবী চুরু লোকসভার অন্তর্ভূক্ত সাদুলপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। রাহুল নিজে বিদায়ী সাংসদ। রাজস্থানের শেখায়তি অঞ্চলে তিন পুরুষের রাজনৈতিক দাপট এই জাঠ পরিবারের। তবুও এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। অভিযোগ অন্তর্ঘাতের। গত বিধানসভা ভোটে তারানগরের সাতবারের বিজেপি বিধায়ক রাজেন্দ্র রাঠোরকে হারানোর নেপথ্য কারিগর নাকি রাহুলই। তাই টিকিট কাটা গেছে। তাতে হয়েছেই বা কী! কংগ্রেসে যোগ দিয়ে লড়ছেন রাহুল। দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকারের তুতো জামাই। ধনকারের বড় ভাই কুলদীপ সিংয়ের কন্যা নীলু হলেন তাঁর স্ত্রী। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত রাহুল। তাই বিজেপি তাঁকে টিকিট না দিলেও ধনকারের পুরো পরিবার কি চাইবে হেরে যাক জামাই? তাও আবার বিপরীতে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। যদিও মোদি গ্যারান্টিতেই তিনি জিতবেন বলেই দাবি বিজেপির এই প্রার্থীর। তাই চুরুতে ব্যক্তি বনাম বিজেপিরই লড়াই। আর সেই লড়াইতেই গত ১০ বছরে গোটা রাজস্থানেরও কপাল খোলার আশায় কংগ্রেস।