মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
টেলিকম সংস্থাগুলিকে এজিআর বাবদ ওই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই ডিওটি’র ডেস্ক অফিসার একটি চিঠি লেখেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সেখানে টেলিকম সংস্থাগুলিকে টাকা দিতে চাপ না দেওয়ার আর্জি জানান ওই আধিকারিক। টাকা মেটানো না হলেও সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয় ওই চিঠিতে। ওই চিঠিরই প্রসঙ্গ তুলে এদিন একযোগে সরকার ও টেলিকম সংস্থাগুলিকে একহাত নেন বিচারপতি মিশ্র। আদালতের ক্ষোভ কমাতে আসরে নামেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। একজন ডেস্ক অফিসার এমন কাজ করতে পারেন না জানিয়ে আদালতের কাছে ক্ষমাও চান তিনি। তবে, তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। ক্রুদ্ধ বিচারপতি মিশ্র তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের সলিসিটর জেনারেল হিসেবে আপনি কি ওঁকে (ডেস্ক অফিসার) এটা প্রত্যাহার করে নিতে বলতে পারতেন না? এটা বরদাস্ত করা যায় না। আমরা এভাবে কাজ করতে পারব না। আপনার ডেস্ক অফিসারের যদি এমন ঔদ্ধত্য থাকে তাহলে আমরা সুপ্রিম কোর্ট গুটিয়ে নিচ্ছি।’ টেলিকম সংস্থাগুলিকে খুশি করতেই ওই ডেস্ক অফিসার চিঠিটি লিখেছিলেন দাবি করে বেঞ্চ আরও জানায়, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে। দরকার পড়লে নোটিস ধরিয়ে জেলেও পোরা হতে পারে তাঁকে। যদিও সলিসিটর জেনারেল আর্জি জানান, এই মুহূর্তে এমন কড়া পদক্ষেপ না নিয়ে ওই আধিকারিককে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ দিক আদালত।
ভোডাফোন আইডিয়া, ভারতী এয়ারটেল এবং টাটা টেলিসার্ভিসের তরফে এজিআর বাবদ ওই টাকা মেটানোর জন্য সময় চেয়ে দায়ের করার আর্জিরই এদিন শুনানি ছিল সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি আগেই খারিজ হয়েছে। তাই আর এইধরনের আর্জি দায়ের করার কোনও যৌক্তিকতা নেই। টাকা কেন মেটানো হয়নি, সমস্ত সংস্থার সিএমডি এবং এমডি-দের আগামী ১৭ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে তড়িঘড়ি সার্কল বা জোন ধরে ধরে টেলিকম সংস্থাগুলির উদ্দেশে নোটিস জারি করে ডিওটি। সেখানে বলা হয়, শুক্রবার রাত ১১.৫৯ মিনিটের আগে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। টাকা জমা না পড়লে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।