মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
অমিত শাহ বলেন, কোনও কর্মী এসব মন্তব্য করতেই পারেন। কিন্তু দলের দৃষ্টিভঙ্গি মোটেও এ ধরনের নয়। দিল্লির ভোটে কেন হার হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ ভোটাররা কেন ভোট দেয়নি, তা লিখে জানায়নি। কিন্তু এ ধরনের প্ররোচনামূলক মন্তব্য হারের একটা কারণ হতে পারে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নির্বাচনী সমাবেশে গোলি মারো স্লোগান দেন। আর বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র এই নির্বাচনকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তবে ওই ঘৃণ্য মন্তব্যকে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে স্বীকার করলেও, সিএএ বা এনপিআর-এর সঙ্গে এই ফলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও এদিন জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন অমিত শাহ। বিজেপি নেতৃত্বের অভিমত, শাহিনবাগ বা সিএএ, এনআরসির পক্ষে সওয়াল করাতেই পার্টির ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে। অমিত শাহ এদিন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার সকলেরই রয়েছে। আর সিএএ নিয়ে কেউ যদি আলোচনা করতে চান, তবে আমার অফিস থেকে সময় চেয়ে নিন। তিনদিনের মধ্যে সময় দেওয়া হবে। অমিত শাহ বলেন, আমি ভেবেছিলাম, দল দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্তু সেটা মেলেনি। এই খারাপ ফল কেন হল, তা কাটাছেঁড়া করে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির নির্বাচন নিয়ে পর্যালোচনায় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এবারের বিধানসভা নির্বাচন দ্বিমুখী হয়েছে। এদিন বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, দিল্লি শাখার প্রধান মনোজ তিওয়ারি এবং সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। সূত্রের খবর, সমস্ত শক্তি দিয়ে দিল্লিবাসীর মনজয়ের চেষ্টা সত্ত্বেও কেন ব্যর্থ হল দল? প্রশ্ন তোলেন জে পি নাড্ডা। তখনই অন্যান্য নেতৃত্ব বলেন, এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ দ্বিমুখী হয়েছে। সেখানে আপের রণনীতির কাছে বিজেপি পেরে ওঠেনি। ভবিষ্যতে দিল্লিতে দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেবে দল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শরিক দলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির ভোট প্রাপ্তির হার আট শতাংশ বেড়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে শুক্রবার ফের দিল্লির সদর দপ্তরে বৈঠকে বসবেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠক প্রায় দু’ঘণ্টা স্থায়ী হয়।