বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য সরকারের সুবিধা হল। রেশন গ্রাহকদের তথ্য কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা, ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি সহ সরবরাহ ব্যবস্থা কম্পিউটার পরিচালিত করার প্রক্রিয়া রাজ্যে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ইপিওএস) যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন গ্রাহকদের কাছে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি এখনও রাজ্যে শুরু করা যায়নি। অনেক রাজ্যে এই যন্ত্রের ব্যবহার পুরোপুরি চালু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছুদিন ধরে ই-পিওএস যন্ত্র দ্রুত চালু করার জন্য রাজ্যকে বলছে। রেশনে ভর্তুকি বাবদ কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা বকেয়া আছে রাজ্যের। এই বকেয়া থাকার পিছনে ইলেকট্রনিক যন্ত্র চালু না হওয়া অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছিল। এখন সময়সীমা আরও এক বছর বেড়ে যাওয়ায় বকেয়া টাকা পাওয়ার বাধা দূর হবে বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা আশা করছেন।
রাজ্য খাদ্য দপ্তর অবশ্য ওই যন্ত্র রেশন দোকানে দ্রুত চালু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল। দুটি সংস্থাকে রাজ্যের ২০ হাজার রেশন দোকানে ওই যন্ত্র সরবরাহ করার বরাত দেওয়া হয়। রেশন ডিলারদের যন্ত্র সরবরাহ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক ডিলার যন্ত্র পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তা কবে চালু করা যাবে, তা এখনও অনিশ্চিত। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের আগে যন্ত্র চালু করলে সমস্যা হতে পারে। কারণ যন্ত্র চালু হলে প্রথম দিকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে রেশন সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ভোটের মুখে রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে মানুষ ক্ষুব্ধ হতে পারে। এটাও সরকারি কর্তারা চাইছেন না।
রেশন ডিলাররা ই-পিওএস যন্ত্র চালু করার জেরে কমিশন বৃদ্ধির জোরালো দাবি তুলেছেন। এব্যাপারে রাজ্য সরকারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, অনেক রাজ্যেই কুইন্টাল প্রতি একশো টাকারও বেশি কমিশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এখানে কমিশন মাত্র ৫৪ টাকা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে কুইন্টাল প্রতি আড়াইশ টাকা কমিশন বা ডিলারদের মাসে অন্তত ৩০ হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করার দাবি করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিলেও, তা চালু করার জন্য গ্রাহকদের নাম নথিভুক্ত করতে ডিলাররা উদ্যোগী হবেন না বলেও সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।