আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
চলতি অর্থবর্ষে এনিয়ে দ্বিতীয়বার এই খাতে টাকা দিল নবান্ন। গোটা রাজ্য থেকে আসা আবেদনগুলি সাধারণত ১৫ দিন অন্তর যাচাই করে সরকার। তারপর আর্থিক অনুদান পাঠানো হয়। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। তাই সেই পর্ব মিটতেই স্বজনহারা কৃষক পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিল রাজ্য। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেই শুধুমাত্র এই প্রকল্প রয়েছে, যেখানে অনুদান দেওয়ার জন্য কৃষকের মৃত্যুর কারণ দেখা হয় না। গত অর্থবর্ষে এই খাতে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষেও বরাদ্দ হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রের ‘পিএম কিষাণ’ প্রকল্পের টাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। তার আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের নিজস্ব প্রকল্পের টাকা কৃষকদের হাতে তুলে দিতে তৎপর হয়েছে। গত সপ্তাহে ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৯৩ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা শস্য বিমার অধীনে এই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্নের এক পদস্থ কর্তা জানান, ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের কৃষকদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল কৃষকবন্ধু এবং বাংলা শস্য বিমা। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক-মৃত্যুর জন্য এককালীন সহায়তা প্রদান ছাড়াও রাজ্যের ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে বছরে দু’বার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
২০১৯ সালে কৃষকবন্ধু চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য মোট খরচ হয়েছে ২,২৪০ কোটি টাকা।