আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। আজ সোমবার ও আগামী কাল মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা বা ‘লাল’ সতর্কতা থাকছে। সাধারণভাবে ওই পাঁচ জেলাতেই হবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। এই জেলাগুলির বিভিন্ন স্থানে রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০ থেকে ২৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা এলাকায়। উত্তর-পূর্ব অসম ও হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপর দুটি পৃথক ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বিহার থেকে মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকে তা উত্তরবঙ্গের দিকে গিয়ে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে প্রচুর বৃষ্টির মেঘ তৈরি করছে। এই কারণে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে।
দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় ও কাছাকাছি এলাকায় বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। চড়া রোদে তাপমাত্রাও বেশি আছে। এর জেরে ভ্যাপসা গরম চলছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৪ ডিগ্রি বেশি ছিল। বাতাসে সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতাও ছিল ৫৭ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। শনিবার বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দিকে তৈরি হওয়া ওই বজ্রগর্ভ মেঘ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার দিকে শনিবার আসেনি। এটা হলে শনিবার গরম থেকে কিছুটা সাময়িক স্বস্তি মিলত।