আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, তিন মাস বয়স হলেও সব দল এই টাকা পায় না। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আগে একটি মূল্যায়নের নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির উপর নির্ভর করে তা বিচার করা হয়। সেই মাপকাঠি উত্তীর্ণ করলেই টাকা পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয় গোষ্ঠী। তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করে সব জেলা পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠায়। যে টাকা দেওয়া হয় তাকে বলা হয় ‘রিভলভিং ফান্ড’। এই টাকা পাওয়ার পর সদস্যদের মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়া হয় এবং তাঁরা নিজ নিজ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেন। এই টাকা একবারই দেওয়া হয়। এরপর নিজেদের ব্যবসা বিস্তার করতে ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার সংস্থান রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের। কেন্দ্র ও রাজ্যের (৬০:৪০ অনুপাতে) যৌথ উদ্যোগে দেওয়া টাকা পায় এই দলগুলি। দপ্তর থেকে জেলাভিত্তিক টার্গেট ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতি তিন মাস অন্তর কতগুলি দলকে সেই টাকা দেওয়া হল, তার রিপোর্ট নেবে দপ্তর। সেই মত ভাগ করে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ( ১২ হাজার ৯৪০) সব থেকে বেশি নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই টাকা দেওয়া হবে। এরপর রয়েছে মালদহ ( ১২ হাজার ৪৭০)।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জেলায় জেলায় নতুন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের লক্ষ্যমাত্রাও দিয়ে দিয়েছে দপ্তর। এবারে ৮০ হাজার ২৭০টি নতুন দল গঠিত হবে। গত কয়েক বছরে এ বিষয়ে জেলাগুলির উপর ব্যাপক চাপ দিয়েছিল
পঞ্চায়েত দপ্তরের আনন্দধারা বিভাগ। তারপর কয়েক লক্ষ দল গঠন হয়েও গিয়েছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে। দুই ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলাকে সব থেকে বেশি দল গঠনের টার্গেট দেওয়া হয়েছে।