আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রত্যাশী হয়ে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে ৮ মে। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ৪০ দিন। শুধু তাই নয়, সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসির ফলও বহুদিন প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ভর্তি নিয়ে সরকারের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়ায় পড়ুয়াদের বড় অংশের দিশাহারা অবস্থা। শুধু পড়ুয়া নয়, অভিভাবক এবং কলেজ কর্তৃপক্ষেরও একই অবস্থা। একটি কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধ্যক্ষ বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে যদি কেন্দ্রীয় পোর্টাল বাতিল হয়ে যায়, তাহলে আমরা সমস্যায় পড়ব। কারণ, এনিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে। ফলে, আরও পিছিয়ে যাবে গোটা প্রক্রিয়া।’ তাছাড়া, যেভাবে উচ্চশিক্ষা সংসদের কাছে ভর্তির টাকা জমা পড়ার কথা আলোচনা হয়েছে বলে প্রকাশ, তাতেও কিছুটা আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেরি হতে পারে। বিকাশ ভবনের আধিকারিকরা অবশ্য বলছেন, এই আশঙ্কা একেবারেই অমূলক। যথাসময়েই টাকা পেয়ে যাবে কলেজগুলি। যে কলেজের যত টাকা অ্যাডমিশন বা অন্যান্য ফি, তাই পাবে তারা। প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে একজন ছাত্র বা ছাত্রী আবেদন করতে পারবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তনও করা যাবে। তখন ওই প্রার্থীর ভর্তির টাকা পরের কলেজটি পেয়ে যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনই পোর্টাল খুলে যাবে। তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে এই পোর্টালের বৈশিষ্ট্যগুলি বিশদে আলোচনা করা হবে। ভর্তি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে বিহার বা ওড়িশার মতো প্রতিবেশী রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই অনলাইনে ছাত্রভর্তির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলার পড়ুয়াদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। কারণ, এখানে ভর্তিতে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে কিছু ছাত্র চলে গেলে আসন ভর্তি নিয়ে চাপ বাড়বে।