আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষের কাছে বার্ধক্য ভাতা পৌঁছে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। মাসের শুরুতে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে এই টাকা। রাজ্য সরকারের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৫০ হাজার নতুন উপভোক্তার নাম নির্দিষ্ট পোর্টালে তোলা শুরু হয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ফলে শীঘ্রই নতুন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হবে।
২০২১ সালে বার্ধক্য ভাতা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে যে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়, তার খুব সামান্য অংশ দেয় কেন্দ্র। ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে থাকা বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের জন্য ২০০ টাকা করে দেয় কেন্দ্র। আশি ঊর্ধ্বদের জন্য দেয় ৩০০ টাকা। এক হাজারের মধ্যে বাকি টাকা দেয় রাজ্য। ফলে প্রতি মাসে এই খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দেড়শো কোটি টাকার অধিকাংশই দিতে হয় রাজ্যের কোষাগার থেকেই।
রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেন্দ্র যে টাকাটা দেয়, সেটা তো রাজ্যের প্রাপ্য। তাহলে আমরা ছাড়ব কেন? তাই কেন্দ্রীয় পোর্টালে এই ৫০ হাজার নতুন উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। বাংলার ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষের জন্য বার্ধক্য ভাতার নির্দিষ্ট অংশের টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। বর্তমানে প্রাপকের সংখ্যা ২০ লক্ষ ১৫ হাজার। ফলে আরও ৫০ হাজার উরভোক্তার টাকা দ্রুত ছাড়ার কথা কেন্দ্রের। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত দপ্তর ছাড়াও রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তর, কৃষিদপ্তর, অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমেও কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে বার্ধক্য ভাতার আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সহায়তার অঙ্ক এক হাজার টাকা করার পাশাপাশি বছর তিনেক আগে সমস্ত দপ্তরের মাধ্যমে দেওয়া বার্ধক্য ভাতাকে ‘জয় বাংলা’ নাম দিয়ে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।