আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বর্ষার আগে প্রতি বছরই এপারে মাছের ডিমপোনা উৎপাদন হয়। গোয়েন্দা ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে এই ডিমপোনার চাহিদা বিপুল। তাই পাচারকারীরা ভারত থেকে তা বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করে। আগে হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি, সিএস খালি জল সীমান্ত দিয়ে হাওয়া ভর্তি প্যাকেটে এই ডিমপোনা পাচার হতো। জলে ভাসিয়ে ওই প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখন স্বরূপনগর, বসিরহাটের স্থল সীমান্ত দিয়েও পাচারের চেষ্টা করছে কারবারিরা। সীমান্তের দু’পারে এই ডিমপোনা পাচারের লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার চলছে।
বৃহস্পতিবার হিঙ্গলগঞ্জের সিএস খালি সীমান্তে ৪ প্যাকেট, সাহেবখালি সীমান্তে ১৬ প্যাকেট, স্বরূপনগরের গাবোড্ডা সীমান্তে ৯ প্যাকেট এবং বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে ৬ প্যাকেট ডিমপোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ঘোজাডাঙার ডিমপোনা দেখে অবাক হয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। কারণ, সেখানে ২ লিটারের পানীয়ের বোতলে জল ভরে ওই ডিমপোনা পাচার করা হচ্ছিল। ডিমপোনা ভর্তি মোট ছ’টি ২ লিটারের বোতল পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে বিএসএফ জানতে পেরেছে, ডিমপোনা ভর্তি এক একটি ২ লিটারের বোতলের দাম ২০ হাজার টাকা! অর্থাৎ, যে ৬টি বোতল উদ্ধার হয়েছে, তার মূল ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
সীমান্তে এলাকায় চাষের জমিতে অনেকেই কাজ করতে যান। গরিব দিনমজুরদের অনেকের হাতেই এই ধরনের জলের বোতল থাকে। তাই এই কৌশল সামনে আসতেই সীমান্তে আরও বেশি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সন্দেহজনক বোতল দেখলেই বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, পাচারকারীরা কৌশল বদলালেও জওয়ানরা সতর্ক রয়েছেন। পাচারকারীদের ঠিকই ধরা হবে।