আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব মেডিক্যাল প্রবেশিকা নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় ২০১৬ সালে। সে বছর এ রাজ্যেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম বোর্ড নিজেদের মেডিক্যাল প্রবেশিকা বাতিল করে। আর এ রাজ্যে নিট শুরু হয় তখন থেকেই। ২০১৩ সাল থেকে নিট শুরু হলেও তা আবশ্যিক ছিল না। প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড সিবিএসই এই পরীক্ষা নিত। পরে শিক্ষামন্ত্রক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) গঠন হওয়ার পরে ২০১৯ সাল থেকে তারাই এই পরীক্ষার দায়িত্ব নেয়। তবে, নিট নিয়ে প্রথম থেকেই উঠছিল নানা বিতর্ক। এতে রাজ্য বোর্ডগুলির ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছিলেন সর্বভারতীয় বোর্ডের পড়ুয়াদের কাছে। পরে, প্রশ্নপত্রের ধরন এবং ভাষাগত মাধ্যমে বিভিন্ন বিকল্প আসায় সেই বৈষম্য দূর হয়।
চলতি বছর নিটের বিতর্ক আগের সমস্ত বিতর্ককেই ছাপিয়ে গিয়েছে। এবছর ফুলমার্কস (৭২০) স্কোর করেছেন ৬৭ জন ছাত্রছাত্রী। দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছ’জনই একটি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রশ্নফাঁস, ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া, সময়ের অপচয় এবং তার জেরে দেওয়া গ্রেস মার্কস—সবই ওঠে বিতর্কের কাঠগড়ায়। সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে অসংখ্য পিটিশন জমা পড়েছে। এ রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন সম্প্রতি জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে এই বিতর্ক নিয়ে। তবে, টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যের বিরোধীরা যেমন সরব, নিটের অভিযোগ নিয়ে তারা ততটাই নীরব বলে মনে করে তৃণমূল। বিভিন্ন সভায় তারা বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কাঠগড়ায় তুলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে, বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু স্বাস্থ্যদপ্তরও জড়িয়ে রয়েছে, তাই মেডিক্যাল প্রবেশিকা রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।