নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার বিধানসভায় উল্লেখ পর্বে বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর মন্তব্য ঘিরে সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিধায়কের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে কয়েকজন মন্ত্রী ও শাসক দলের বিধায়করা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। সিপিএম বিধায়ক তাঁর মোবাইল ফোনে থাকা কিছু দেখানোর জন্য স্পিকারের আসনের দিকে যেতে উদ্যত হন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে বক্তব্য পেশ করার জন্য পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে অনুমতি দেন। মন্ত্রী বলেন, যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা বিধানসভার মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রাস্তার মিটিংয়ে কী বলতে হয়, আর বিধানসভায় কী বলা যায়, সেটা অনেকেই জানেন না। বিধানসভা ছ্যাবলামি করা যায় না। স্পিকারও এই ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভার মর্যাদা বজায় রাখার উপর জোর দেন। বিধায়করা অনেক সময় যে বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখার কথা, সেটা বলতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। এবার থেকে উল্লেখ পর্বে তাঁরা কি বলবেন, সেটা আগাম জমা দিতে হবে বলে স্পিকার নির্দেশ দেন।
সিপিএম বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যটি সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। দুর্গাপুর ব্যারাজ সংলগ্ন এলাকায় লরি থেকে টাকা আদায় করা সংক্রান্ত অভিযোগ এদিন বিধানসভার উল্লেখ পর্বে তুলেছিলেন বড়জোড়ার বিধায়ক। সিপিএম পরিষদীয় দল সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্যবিবরণী থেকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে। সিপিএম বিধায়ক লবিতে দাবি করেন, তিনি কোনও অসংসদীয় মন্তব্য করেননি।