মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
রাজ্যপালের ভাষণের সমালোচনা করে বিতর্ক শুরু করে কংগ্রেসের ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, কেন্দ্রের মতো রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে। রাজ্যে বিরোধী থাকবে না, এই মানসিকতা থাকা উচিত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হয়েছে, তাতে কি বলা যায়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভালো।
তৃণমূল বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন, রাজ্যপাল কিছু না কিছু ঘটাবেন। আমরাও উদগ্রীব ছিলাম। কিন্তু তিনি প্রথা অনুসারে রাজ্যের সুরেই বক্তব্য করলেন। অনেকেই হতাশ হয়েছেন। সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে সেটিংয়ের অভিযোগ তুলে বলেন, ওরা (কেন্দ্র) যে দোষে দুষ্ট, রাজ্য একই দোষে দুষ্ট। ওরা (বিজেপি) মন্দিরের নামে ভোট চাইছে, আর আপনারা (তৃণমূল) ইমাম ভাতা, মোয়জ্জিন ভাতা দিয়ে ভোট চাইছেন। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কী? এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেন, ইমাম ভাতা বা মোয়াজ্জিন ভাতা রাজ্য সরকার দেয় না, দেয় ওয়াকফ বোর্ড। তবে এটা ঠিক, শ্মশানে যেসব অগ্রদানী ব্রাহ্মণ কাজ করেন, তাঁদের প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। এটা চালু করার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে অভিনন্দন জানানো উচিত। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা বলেন, তাঁদের বলি, ১৯৯০ সালের কলকাতা পুরসভার নির্বাচন, ১৯৯৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৩ সালের পানিহাটি পুরসভার নির্বাচন সম্পর্কে জেনে নিন।
তবে সভার তাল কেটে যায় সোনালি গুহের বক্তৃতার সময়। বিরোধী বেঞ্চ থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রামজ সোনালি গুহের বক্তব্যে টিপ্পনি কাটলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আপনার মা কেন জেলে আছে, তা আমরা জানি। আবার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা বেগমও কিছু কটাক্ষ করলে সরাসরি আক্রমণ করে সোনালি বলেন, এত বলছ কেন? বাচ্চা মেরেছিল কে, তা আমরা জানি। এই নিয়ে সভায় হইচই বেধে যায়। সিপিএমের মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তা অসত্য। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী কর্ণাটকে খুন হয়েছেন ১৩৩৪ জন। কেরলে ২৯২ জন। আর পশ্চিমবঙ্গে খুন হয়েছেন ১৯৩৩ জন। মহিলাদের উপরে হিংসার ঘটনা কর্ণাটকে ১৩,৫১৪, কেরলে ১০,৪৬১টি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যা হল ৩০,৩৯৩। রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের পুরোদমে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের মইনুল হক। আজ, বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বিতর্ক রয়েছে।