মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বাড়িতে রান্নার গ্যাসের ডেলিভারি এলে, ক্যাশমেমোয় লেখা থাকে গ্যাসের দাম। গ্রাহক কত টাকা ভর্তুকি পাবেন, তারও উল্লেখ থাকার কথা ওই রসিদে। কিন্তু গত আগস্ট মাস থেকে সেই প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহক দেখেছেন, সেই মাসে তাঁরা ভর্তুকি পেয়েছেন ৭৪.০৫ টাকা। এদিকে, উজ্জ্বলা যোজনায় সেবার ভর্তুকি ছিল ৯৫.৫০ টাকা। এর আগে পর্যন্ত সাধারণ ও উজ্জ্বলার গ্রাহকরা একই ভর্তুকি পেতেন। অর্থাৎ ওই মাসে সাধারণ গ্রাহক ২১ টাকা কম ভর্তুকি পান। সেই শুরু। এরপর প্রতি মাসে কখনও সাত টাকা, কখনও আট টাকা কম ভর্তুকি পেয়েছেন সাধারণ গ্রাহক। এইভাবেই জানুয়ারি পর্যন্ত ৬০ টাকারও বেশি ভর্তুকি কম পেয়েছেন গ্রাহকরা। তবে যেভাবে সচতুরভাবে ভর্তুকির টাকা কমানো হচ্ছে, তা মন দিয়ে নজর না করলে কেউ বুঝতেই পারবেন না, বলছেন গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটররা। কারণ প্রতি মাসেই নিয়ম করে গ্যাসের দাম বেড়েছে। তাই ভর্তুকিও বেড়েছে। কিন্তু যে অনুপাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, ততটা বাড়েনি। ক্যাশমেমোয় তার উল্লেখ না থাকায় গ্রাহকরাও অন্ধকারে থাকছেন।
কীভাবে কমছে ভর্তুকি? ধরা যাক, জানুয়ারি মাসের কথা। ওই মাসে কলকাতায় গ্যাসের দাম ছিল ৭৪৭ টাকা। ডিসেম্বরের তুলনায় দাম বাড়ে ২১.৫০ টাকা। ডিসেম্বরে গ্রাহক ভর্তুকি পেয়েছিলেন ১৭০.৯০ টাকা। সেই মতো জানুয়ারিতে আরও ২১.৫০ টাকা বেশি ভর্তুকি পাওয়ার কথা ছিল গ্রাহকের। কিন্তু তাঁরা ভর্তুকি পান মাত্র ১৮৭.৩৮ টাকা। অর্থাৎ ২১.৫০ টাকার জায়গায় বাড়তি ১৬.৪৮ টাকা ঢোকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। অর্থাৎ এই মাসেও গত মাসের মতো ভর্তুকি বাবদ ১৮৭.৩৮ টাকা ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। গ্রাহক ভর্তুকি বাবদ পেয়েছেন ১৮৩.৩৮ টাকা। উজ্জ্বলাতেও যেখানে জানুয়ারিতে ২০৮.৩৮ টাকা ভর্তুকি পাওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে তা হয়েছে ২০৪.৩৮ টাকা।
তবে এই সবই হিসেব ছিল মঙ্গলবার পর্যন্ত। আজ, বুধবার থেকে নতুন করে ভর্তুকির হিসেব করা শুরু হবে। একদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো, অন্যদিকে ভর্তুকি নিয়ে ডামাডোল। সব মিলিয়ে গ্রাহককে চরম সমস্যার মুখে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদেরও আর্থিক কোপ দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটাই কি নরেন্দ্র মোদির ‘আচ্ছে দিন’? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। - ফাইল চিত্র