মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এরপরই কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, সরকারি মেশিনারি, টাকার থলি, সব এজেন্সি আর দলের রথী-মহারথীদের কাজে লাগিয়েও দিল্লিতে ভো-কাট্টা বিজেপি। ধপাস, দুম! আটমাস আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তারপর থেকে যেখানেই ভোট হচ্ছে, সেখানেই হারছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড সব জায়গায় হেরেছে। স্টেট লেস হচ্ছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ আর কর্ণাটক ছাড়া কোন বড় রাজ্য ওদের দখলে রয়েছে? একের পর এক তরি ডুবছে। গলার স্বর চড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঙ্কার, শেষ তরিটা ২০২১-এ ডুববে বাংলায়। সঙ্গে বিজেপি’র প্রতি মমতার হুঁশিয়ারি, এর জন্য তৈরি থাকুন। টাকা ছড়িয়ে লাভ হবে না। টাকার চেয়ে মানুষের দাম অনেক বেশি। ধর্মীয় মেরুকরণেও লাভ হবে না। জাত নয়, ভাত চাই আগে। দিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, এবার বাংলা দেখাবে। সভাস্থলে তখন নাগাড়ে বেজে চলেছে ধামসা-মাদল, ঢাক-ঢোল আর কাঁসর ঘণ্টা। সঙ্গে উলু আর শঙ্খধ্বনি দিয়ে মমতাকে সায় দিয়েছে সভাস্থল।
লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার দুটি কেন্দ্রই তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল পদ্মশিবির। বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি এবং উন্নয়ন ফিরিয়ে আনার পরেও মানুষের এই রায় দেখে কিছুটা ‘অভিমানী’ই হয়ে ছিলেন নেত্রী। অন্য সব জেলায় ঘুরে বেড়ালেও, বাঁকুড়ায় মমতা এলেন দীর্ঘ আটমাস পরে। এদিন সভা ঘিরে অবিরাম জনস্রোত, আবেগ, উন্মাদনা এবং স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে তৃণমূল নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই খুশি। জেলায় দলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণেও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, লাখো মানুষের ঢল আজ প্রমাণ দিচ্ছে, মানুষ সত্যিই বুঝছেন মুখ্যমন্ত্রীর অভিমান।