মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আজ দিল্লি ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, আম আদমি পার্টি সরকারের সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত হল প্রশান্ত কিশোরের নামও। পরপর দু’বছরে দুটি রাজ্যে জয়ের রূপরেখায় তিনি অন্যতম কারিগর হিসেবেই বিবেচিত। এবার তাঁর আগামী চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গ। কেজরিওয়ালের অনেক আগেই তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। সেইমতো তাঁর টিম দীর্ঘদিন ধরেই ময়দানে নেমে কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বছর যদি বিজেপিকে হারিয়ে পুনরায় জয়ের হ্যাটট্রিক করেন, তা হলে সেটা হবে প্রশান্ত কিশোরেরও হ্যাটট্রিক। অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ।
এদিকে আজ দিল্লির ফলাফল প্রকাশের পর জাতীয় রাজনীতিতে সমীকরণ বদলের সম্ভাবনা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শেষে বিহারে ভোট। এখন থেকেই তফসিলি সংরক্ষণ ইস্যুতে বিরোধীরা কোণঠাসা করতে চাইছে সরকার তথা বিজেপিকে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সংরক্ষণ সংক্রান্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সংসদে বিজেপিকে চেপে ধরেছে কংগ্রেস। এই ইস্যুতে কংগ্রেস আন্দোলনেও নামছে এবং সেটা যে বিহার ভোটের দিকে তাকিয়ে, তাও স্পষ্ট। এই ইস্যুতে সরকারের জোটশরিক রামবিলাস পাসোয়ান ইতিমধ্যেই বিরোধীদের সুরে কথা বলছেন। আর নীতীশ কুমার এখনও পর্যন্ত রিহার ভোট নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না। সুতরাং দিল্লিতে বিজেপির এই মুখ থুবড়ে পড়ার পর নীতীশ কুমার এবং রামবিলাস পাসোয়ানরা বিকল্প কোনও ভাবনা নিয়ে আগামীদিনে এগবেন কি না, সেটাও জল্পনার কারণ।