কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
কৃষিমন্ত্রী এদিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চাষ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীষণ উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তিনি সর্বদা খোঁজখবর নিচ্ছেন কোন জেলায় কত পরিমাণ চাষ হয়েছে। এক্ষেত্রে আশিসবাবু রাজ্য সরকারের তরফে করা বাংলা ফসল বিমা যোজনায় চাষিদের অন্তর্ভুক্তির জন্যও দপ্তরকে আরও উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে বাংলা ফসল বিমা যোজনায় চাষিদের অন্তর্ভুক্তির জন্য ১ লক্ষ ৮২ হাজার ফর্ম বিলির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সেই ফর্ম একটি বিমা সংস্থার মাধ্যমে বিলি ও জমা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সেই ফর্ম জমা নেওয়ার শেষ তারিখ। এই বিমা যোজনায় চাষিদের কোনও টাকা দিতে হবে না। রাজ্যস্তরের তরফেই বিমার টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও জেলায় এই কাজের গতি শ্লথ বলে অভিযোগ। বহু এলাকায় এখনও এব্যাপারে প্রচার করা হয়নি।
যদিও বীরভূমের উপ কৃষি অধিকর্তা একেএম মিনাজুর আহাসান বলেন, জেলায় এবার থেকে পঞ্চায়েতস্তরে ফর্ম বিলির কাজ করা হবে। এমনকী, চলতি মাসের শনিবারগুলিতে বিশেষ শিবির করা হবে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজার ফর্ম বিলি হয়েছে। সময়মতো প্রক্রিয়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত মঙ্গলবার দপ্তরের উচ্চ কর্তা ও বিমা সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে ফর্ম বিলি ও জমা দেওয়ার কাজে গতি ফেরাতে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক আধিকারিককেই চাষিদের কাছে এই বিমার বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আশিসবাবু চাষের ক্ষেত্রে আরও বলেন, প্রথাগত পদ্ধতি থেকে চাষিদের বেরিয়ে আসতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ১০শতাংশ ভুট্টা চাষ বেড়েছে। ভুট্টার দামও বেশ কিছুটা বেড়েছে। তাই একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের তরফে একদিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেই কর্মশালায় রাজ্যের ১৬টি জেলার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে মাটি ও জল সংরক্ষণের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য দপ্তরের কর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও দপ্তরের মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর তপনকুমার দাস, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অনিমেষ বিশ্বাস, বীরভূম জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্ববিজয় মাড্ডি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বীরভূমের উপ কৃষি অধিকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাটি ও জল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তাই মাটি ও জল সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার আলোচনা করা হয়েছে।