কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা একেবারে তুঙ্গে, সেইসময় গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে এহেন মন্তব্য করে তীব্র জল্পনা উস্কে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সংসদ সদস্য রাজু বিস্তা। কেন্দ্রেরই শাসক দলের একজন এমপির এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, জম্মু-কাশ্মীরের পর এবার কি তাহলে বিজেপির টার্গেট দার্জিলিং? আগামী ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হটিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজনৈতিক কৌশলগত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাহলে কি আরও বড় কোনও পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।
আজ এ ব্যাপারে দার্জিলিংয়ের এমপি রাজু বিস্তা বলেন, ‘এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো এখানেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে, অথবা আলাদা গোর্খাল্যান্ডই তৈরি করতে হবে, এর পুরোটাই আলোচনা সাপেক্ষ। যদি এই দুটি প্রস্তাবের তুলনায় গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আরও ভালো বিকল্পের সন্ধান নিয়ে কেউ আসেন, তাহলে তাঁকেও স্বাগত জানিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এর স্থায়ী সমাধান করতেই হবে।’
জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের দ্বিতীয় মোদি সরকারের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এদিকে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলা ভাগের চেষ্টা হলে তা কোনওমতেই মেনে নেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে গোর্খাল্যান্ড সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের দাবি করে দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপি রাজু বিস্তার এই মন্তব্যে রাজনৈতিক পারদ আরও তুঙ্গে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।