কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উপ স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড স্টোর) ডাঃ রাসবিহারী দত্ত এক বিতর্কিত নির্দেশনামায় (মেমো: এইচএসটি/১পি-৩৭/২০১৬/১৬৩৯) জানিয়েছেন, ২ আগস্ট থেকে বিভিন্ন সরকারি সমবায় সংস্থার মালপত্র তাঁদের খুঁটিয়ে দেখতে হবে এবং আজ, ৭ আগস্ট দুপুর তিনটের মধ্যে সরকারের ঘরে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতিক্রমেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এরই সঙ্গে কলকাতা থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা— সব মিলিয়ে ১০টি এমন সমবায় সোসাইটি’র নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে সেখানে কোন ইন্সপেক্টর পরিদর্শন করবেন, সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে। ইন্সপেক্টরদের ১. বেডশিট ২. ম্যাট্রেস ৩. বালিশের কভার ৪. গাউন ৫. অ্যাপ্রন ৬. ডাক্তার-নার্স ও রোগীদের পোশাক ৭. ডাইপার ৮. ন্যাপকিন ৯. মৃতদেহের ঢাকনা ১০ পাজামা ইত্যাদি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ‘ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০’–এর তিন নম্বর সেকশনে ড্রাগস-এর আওতায় কী কী পড়বে, সেই তালিকা স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। তাতে পাজমাও পড়ে না, অ্যাপ্রনও পড়ে না। পড়ে না বেডশিট বা বালিশের কভার! ইন্সপেক্টর মহলের একাংশ জানিয়েছে, এই নির্দেশনামা দেখে তাঁরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারেননি। সবচেয়ে বড় কথা, সীমিত লোকবলের মধ্যে তাঁদের এইসব জায়গায় পরিদর্শনে পাঠানো যেমন ‘কেলেঙ্কারি’, তার চেয়ে বড় ‘কেলেঙ্কারি’ হবে তাঁদের মতো এই বিষয়ে অদক্ষ মানুষজনের পরিদর্শন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে যদি এইসব সমবায় সমিতির কোটি কোটি টাকার পণ্য বাজারে আসে! সূত্রের খবর, ১০টি সংস্থার প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকার মালপত্র যাচাইয়ের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে।
কেন এ ধরনের বিচিত্র নির্দেশ জারি করা হল? এ বিষয়ে মঙ্গলবার উপ স্বাস্থ্য অধিকর্তা (যন্ত্রপাতি ও স্টোর) রাসবিহারীবাবু বলেন, উপরের তলার কর্তারা করতে বলেছেন, তাই এমন নির্দেশ দিয়েছি। এইসব জিনিস যাচাই করার প্রশিক্ষণ যে তাঁদের নেই, রিপোর্টে সেকথা ইন্সপেক্টররা জানালেও আমার কিছু করার ছিল না। অনেকটা একই সুরে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের কার্যনিবাহী অধিকর্তা স্বপন মণ্ডল বলেন, এ নিয়ে অনেক অশান্তি হচ্ছে। কিন্তু আমার সত্যিই কিছু করার নেই। সরকার যা করতে বলেছে, তাই করেছি। রাজ্যের প্রাক্তন ড্রাগ কন্ট্রোলার ডঃ চিন্তামণি ঘোষ বলেন, হাস্যকর নির্দেশ। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, বঙ্গশ্রীর প্রশাসনিক দায়িত্ব আমাদের হলেও আরও অনেকগুলি দায়িত্ব ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের। অবশ্যই বিষয়টি দেখব। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, বলেন কী? জানি না তো। অবশ্যই খোঁজখবর করছি।