বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রের তৈরি রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন সাত দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে ভোটের ফলাফলে কোনও প্রভাব পড়বে না। রবিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এমনই দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এর আগেও বিধানসভা এবং লোকসভার উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হয়েছিল। উলুবেড়িয়া লোকসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোটে শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে তৃণমূল। তাঁর মতে, মানুষ রাজ্যের উন্নয়ন দেখেছে। বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় ভোট করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে উল্লসিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার জের টেনে ফিরহাদের প্রশ্ন, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে বিজেপি। গত কয়েক বছরে সব থেকে বেশি তৃণমূলের কর্মী খুন হয়েছেন। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি অভিযুক্ত। অন্যদিকে যেসব রাজ্যে মানুষ খুন ও দাঙ্গার ইতিহাস রয়েছে, সেখানে কমদিনে ভোট হচ্ছে। সবই মানুষ দেখছে। ভোটের মেশিনে মানুষই তার জবাব দেবে বলে মনে করেন ফিরহাদ।
তিনি বলেন, মানুষে আস্থা নেই বলেই দেশজুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। বাংলায় তো বটেই, গোটা দেশেই বিরোধী ঐক্য গড়ে নরেন্দ্র মোদিকে চাপে ফেলে দিয়েছেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই চাপের মুখে পড়ে মরিয়া বিজেপি নানা ভাবে তৃণমূলকে হেনস্তা করতে তৎপর। সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে দীর্ঘদিন ধরে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপি। ফলে রমজান মাসের মধ্যে ভোট চলবে বাংলায়। ফিরহাদের মতে, একদিকে রমজান মাস, অন্যদিকে এতদিন ধরে ভোট হলে রাজ্যের মানুষই অসুবিধায় পড়বে। যদিও এর কোনও প্রভাব ভোটের ফলাফলে পড়বে না। রাজ্যের মোট ৪২টি লোকসভা আসনের সবকটি জিততে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। তাই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যথা নেই বলেই জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব। সব ধর্মকেই তৃণমূল সম্মান করে। কিন্তু এভাবে রমজান পর্যন্ত ভোট টেনে নিয়ে যাওয়া মোটেই সঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ৪ মে থেকে রমজান মাস শুরু। রোজা চলবে। মে মাসের ৬, ১২ এবং ১৯ তারিখ শেষ তিন দফা নির্বাচন। অর্থাৎ শেষ দুই দফায় পুরোপুরি রোজার মধ্যেই ভোট গ্রহণ হবে। স্বভাবতই, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে রোজা রেখেই ভোটে অংশ নিতে হবে।
তবে, সাত দফায় ভোটে যারা তৃণমূল নেত্রীকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল, তাদের ‘সে গুড়ে বালি’ বলে মনে করেন ফিরহাদ। এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের লক্ষ্য দিল্লি। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মোদি হটাতে দেশের বিরোধী শক্তিকে এককাট্টা করেছেন মমতা। ইতিমধ্যে দিল্লি সহ ভিন রাজ্য মোদি বিরোধী সভাও করেছেন তৃণমূল নেত্রী। ফিরহাদ বলেন, ভালোই হয়েছে, ভিন রাজ্যে মোদিরর বিরুদ্ধে প্রচারের সুযোগ পেয়ে গেলেন নেত্রী।