সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কী কারণে পিএমজিএসওয়াই-এর চতুর্থ পর্যায়ের কাজ নিয়ে এমন আশঙ্কা তৈরি হল? ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পিএমজিএসওয়াই-৪ এর ঘোষণা করে বলেছিলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ৫০০’র বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, এমন ২৫ হাজার জনবসতিকে সড়কপথে জুড়ে দেওয়া হবে। ঘোষণার পাঁচ মাস বাদে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষে এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন পাঠায় কেন্দ্র। তাতেই বলা হয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা রিপোর্ট অনুযায়ী, সড়কহীন ৫০০ জনসংখ্যার বসতিকে চিহ্নিত করতে হবে। তবে পাহাড় ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ওই জনসংখ্যাকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৫০। আবার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ১০০’র বেশি জনসংখ্যা হলেই তা চিহ্নিত হবে।
এখানেই প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের কর্তারা। এমন বহু গ্রাম রয়েছে, যেখানে ১৪ বছর আগে জনসংখ্যা ৫০০’র কম ছিল। বর্তমানে তা ৫০০’র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কিন্তু মাপকাঠি যখন ২০১১ সালের জনগণনা রিপোর্ট, তখন স্বাভাবিকভাবেই ব্রাত্য থেকে যাবে এই গ্রামগুলি। এবিষয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। প্রসঙ্গত, বাজপেয়ির আমলে ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চালু হয় পিএমজিএসওয়াই প্রকল্প। সেই সময় কোনও গ্রামের জনসংখ্যা বিচার করা হয়েছিল ২০০১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী। পিএমজিএসওয়াই ৪-এর ক্ষেত্রেও যার উল্লেখ রয়েছে। মাঝে পিএমজিএসওয়াই ২ ও ৩ প্রকল্প এলেও তাতে মূলত গ্রামীণ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে। ফলে ২০০০ সালের পর এবার ফের শুধু নতুন রাস্তা তৈরি হবে পিএমজিএসওয়াই ৪-এর অধীনে। প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, ২০০০ সালের ওই প্রকল্প কিছুটা দেরিতে শুরু করা হয়েছিল, যাতে ২০০১ সালের জনগণনার তথ্যকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এবারও তা করা যেত, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে কোনও গুরুত্বই দেয়নি।
পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ৬০ শতাংশ ও রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দেয়। সেই নিরিখে এই প্রকল্পের প্রতিটি দফা মিলিয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ ধার্য হয়েছে এই বাংলায়। যার মধ্যে এখনও (পিএমজিএসওয়াই ৩) ২০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য ১২০০ কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্র। অন্যদিকে, পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে ৩২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।