সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের নকশার অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে হওয়ায় অনুমোদিত বিল্ডিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে হাওড়া পুরসভা ৯৪টি নতুন বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করেছিল। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮১টি। বহুক্ষেত্রে পুরসভা তিনতলা বা চারতলা নির্মাণের অনুমোদন দিলেও নিয়ম উপেক্ষা করে সেই বিল্ডিংয়ে আরও কয়েকটি তল বাড়িয়ে নিচ্ছে অসাধু প্রোমোটাররা। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই হাওড়া শহরে অবৈধভাবে বহু বিল্ডিং নির্মাণ হয়ে আসছে। পুরসভার হিসেব বলছে, ২০২১-’২২ সালে শহরের ৪৪৯টি বিল্ডিংয়ের একাংশ অবৈধভাবে বাড়ানো হয়েছে। ২০২২-’২৩ সালে ৩৬৪টি অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ হয়েছে। ২০২৩-’২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬৫টি। সে কারণেই এবার অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ রুখতে কড়া ভূমিকা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। জানা গিয়েছে, এবার থেকে পুরসভা যে সব বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করবে, সেই তথ্যের উল্লেখ থাকবে হাওড়া পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে কোনও নাগরিক তাঁর এলাকার নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের হোল্ডিং নম্বর দিলেই জানতে পারবেন, বাড়িটি বৈধ না অবৈধ।
শুধু বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে ধরাই নয়, শহরের বিভিন্ন থানা এলাকায় অবৈধ বিল্ডিং ভাঙার ক্ষেত্রেও চলতি মাস থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাবে হাওড়া পুরসভা। জানা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে শহরের ১০৭টি বেআইনি বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৪০টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছে পুরসভা। সোমবার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রচুর বেআইনি বিল্ডিং চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেক বিল্ডিং কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ ভাঙার জন্য নোটিস ধরানো হচ্ছে। একে একে প্রতিটি বাড়ি ভাঙা পড়বে। নির্মাণ ভাঙার প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হবে।’ অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য পুরসভা ১৬ জনের দু’টি টিম করেছে। আগামী দিনে এই টিমের সংখ্যা বানানো হবে। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক আরও বলেন, ‘নিত্যদিন পুরসভার নিজস্ব পুরবীক্ষণ অ্যাপে রাস্তা সংস্কার, নিকাশি পরিষ্কারের কাজের তথ্য ও ছবি সহ আপলোড করতে হয়। এবার থেকে এই অ্যাপে অবৈধ বিল্ডিং ভাঙার তথ্যেরও উল্লেখ থাকবে।’ শহরের নাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, ‘হাওড়া শহরজুড়ে যেভাবে পুকুর ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলছে, তাতে পুরসভার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত
তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’