সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, এই প্রকল্পের কাজ কেএমডিএ’র করার কথা। আমরা কুণ্ডুগলির পর থেকে একটি বড় এলাকা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে গঙ্গার জল সংগ্রহ করা সুবিধাজনক বলেই কর্তৃপক্ষ জায়গাটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ অগ্রসর হয়নি। কোনও সন্দেহ নেই যে, সাধারণ মানুষ একারণে আমাদেরই দায়ী করবেন। কেএমডিএ কাজ না করলে আমাদের অসহায়ভাবে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। এনিয়ে চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, অতিরিক্ত জল সংগ্রহ এবং রিজার্ভার তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা আমরাই প্রথম কেএমডিএ কর্তাদের বলেছিলাম। কর্তৃপক্ষ সেই বাস্তবতা মেনে সরেজমিন তদন্ত করেছিল। কিছুটা কাজ এগিয়েছিল। কিন্তু তারপর আর প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অন্যায় নয়।
হুগলির বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়া, দুই পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার সরকারি প্রকল্প আগেই চালু হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প চালুর পর দেখা যায়, অতিরিক্ত জলের যেমন প্রয়োজন হচ্ছে, তেমনই একটি অতিরিক্ত রিজার্ভারও দরকার। বর্তমানে দু’টি পুরসভা এলাকায় সব ওয়ার্ডে জল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নাগরিকদের চাহিদার অনুপাতে তা কম। ফলে, কখনও জলের গতি কমে যায়, আবারও কখনও জল কার্যত যায় না।
বাঁশবেড়িয়ার সাতটি ওয়ার্ডে এবং চুঁচুড়ার বালি মোড়ের পর থেকে বিরাট এলাকাজুড়ে দিনের নানা সময়ে এই সমস্যা দেখা যায়। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গঙ্গা থেকে বাড়তি জল তোলার জন্য কুণ্ডগলির পরে একটি জল উত্তোলন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল কেএমডিএ। পাশাপাশি, চুঁচুড়া লাগোয়া বাঁশবেড়িয়ায় একটি বাড়তি রিজার্ভার তৈরির পরিকল্পনাও ছিল। গত এক বছর ধরে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। অভিযোগ, একচুল কাজ এগয়নি। যেকারণে পানীয় জল নিয়ে দুই শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লেগেই রয়েছে।