শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, পড়শিকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন সাহেব আলি। বহুদিন পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা শোধ দেননি যুবক। সম্প্রতি, সাহেবকে একটি সোনার পিণ্ড দিয়েছিলেন পড়শি যুবক। বলেছিলেন, এক ব্যক্তি এসে তাঁকে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে যাবেন। সেই টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে বাকি টাকা রেখে দিতে। নির্দেশ মতো সমস্ত কাজই করেন দেগঙ্গার সাহেব আলি। রাতের অন্ধকারে নির্জন জায়গায় সোনা হস্তান্তর করে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, বাড়িতে এসে ব্যাগ খুলতেই দেখেন, সমস্ত টাকা নকল। তারপরই শুরু হয় পাল্টা হুমকি। এবার সাহেবের কাছে ৫৫ লক্ষ টাকার বাকি অংশ ফেরত চান পড়শি যুবক। ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পেশায় ভ্যান চালক সাহেব।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে তিনি পড়শি সিরাজ (নাম পরিবর্তিত)-কে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সিরাজ হায়দরাবাদে সোনার কাজ করেন। প্রায় বছরখানেক ধরে সেই টাকা বকেয়া রয়েছে। তা ফেরত পাচ্ছিলেন না সাহেব। মঙ্গলবার সাহেবের বাড়িতে আসেন সিরাজ, দিয়ে যান সোনা। তিনি জানান, দু’-তিন দিনের মধ্যেই এক খরিদ্দার এসে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই সোনা নিয়ে যাবে। আর তা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে বাকি রেখে দিতে।
মঙ্গলবার রাতে ফোন করে সাহেবকে একটি ফাঁকা জায়গায় আসতে বলে সিরাজের ‘খরিদ্দার’। অন্ধকারে বাঁশবাগানে গিয়ে হয় হাতবদল। সোনা নিয়ে ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়ে যান অপরিচিত ওই ব্যক্তি। সেই ব্যাগ খুলে সাহেব দেখেন, সব টাকা জাল। উপরের দিকে জাল নোট আর নীচে কাগজ। সিরাজকে ফোন করে সাহেব সে কথা জানান। উল্টে সিরাজ, সাহেবকে চাপ দিয়ে বলে, আসল টাকা দিয়েছে খরিদ্দার। জাল টাকা এল কীভাবে? চাপে পড়ে যান সাহেব। বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বিষপান করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের স্পষ্ট দাবি, পড়শি যুবকের কারসাজিতে ভয় পেয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন সাহেব।