শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এখনও বন্যার ঘা শুকোয়নি আরামবাগ মহকুমায়। অতি বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে কার্যত দফারফা হয়ে গিয়েছে মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বিশেষ করে খানাকুলের লক্ষাধিক মানুষ গত সপ্তাহ থেকে টানা দুর্ভোগের মধ্যেই কাটাচ্ছেন। বুধবার থেকে ফের নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহকুমাজুড়ে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন খানাকুলের বাসিন্দারাও। তালিতের বাসিন্দা কাশীনাথ বাগ বলেন, ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছি। বৃষ্টির মধ্যে খুবই সমস্যা হচ্ছে। নদীর জলও বাড়ছে। কী জানি আর কত দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
মারোখানার বাসিন্দা সৌরভ আদক বলেন, আমাদের এলাকার এখনও কিছু জায়গায় জল জমে রয়েছে। খুব ধীর গতিতে জল নামছিল। জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল। তারমধ্যেই ফের বৃষ্টি হওয়ায় জল নামার গতি থমকেছে। তাছাড়া বাসিন্দারা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই জিনিসপত্র গোছানো শুরু করেছেন। আগের নিম্নচাপে আচমকা জল বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সেই সুযোগ পাননি। আবার আমাদের বাড়ি ছাড়া হতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ ডিভিসি ৩৬ হাজার ৫৫০ কিউসেক হারে জল ছেড়েছে। তা দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদী দিয়ে বইছে। বাঁকুড়ায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় দ্বারকেশ্বর নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে। গত বুধবার দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর ছিল ১১.৭১ মিটার। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয় ১১.৭৭ মিটার। দ্বারকেশ্বরে প্রাথমিক বিপদ সীমা ধরা হয় ১৬.৬১ মিটার। তবে দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণ নদীর জলস্তর বিপদ সীমার নীচেই রয়েছে। গত প্রায় ১০ দিন ধরে খানাকুলের বাসিন্দারা বন্যা পরিস্থিতির জেরে ভুগছেন। অনেকের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ ত্রিপল টাঙিয়ে, অনেকে আবার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। খানাকুল থানার তরফে এদিনও কমিউনিটি কিচেন করে দুর্গতদের খাওয়ানো হয়। এদিন বৃষ্টির মধ্যে ত্রাণ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী, ভাইস চেয়ারম্যান মমতা মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। নৌকায় গিয়ে তাঁরা ত্রাণ পৌঁছে দেন। চেয়ারম্যান বলেন, এদিন চিংড়া এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। বৃষ্টির জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় অতিরিক্ত লাগে।