সংবাদদাতা, বজবজ: সম্প্রতি মহেশতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর সরকারপাড়ার একটি ফ্ল্যাটের উপরের তলায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আঁতকে উঠেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রাণহানি না হলেও ওই ফ্ল্যাটে বসবাসকারী স্বামী, স্ত্রী এবং ছেলে তিনজনেই ঝলসে গিয়েছিলেন। এখনও সেই আতঙ্ক কাটাতে পারেনি গোপালপুর সরকারপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, মহেশতলা পুরসভা এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা পালন করুক। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। মহেশতলা পুর কর্তৃপক্ষও এমনটাই চাইছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে লিকেজ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আটকাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবেছে পুরসভা। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনও বহুতল এবং আবাসনে এমন বিপজ্জনক ঘটনা না ঘটে। পুর প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, কলকাতা শহর ঘেঁষা হওয়ায় মহেশতলা পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে শুধু ঘনবসতি নয়, শ’য়ে শ’য়ে বহুতল তৈরি হয়েছে। সব আবাসনেই একাধিক সিলিন্ডার রয়েছে। এ ধরনের গ্যাস লিকের সমস্যা কোনও কোনও ফ্ল্যাটে অল্পবিস্তর হয়ে থাকে। কিন্তু কখন যে তা বড় আকার নিতে পারে, তা কেউ বলতে পারে না। এ ব্যাপারে ৩৫টি ওয়ার্ডেই সচেতনতা শিবির করার ভাবনা রয়েছে পুরসভার।
মহেশতলা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তাপস হালদার বলেন, ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান দুলাল দাস এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। প্রাথমিকভাবে ওই বৈঠক থেকে কয়েকটি ভাবনা উঠে এসেছে। তা হল, মহেশতলার ৩৫টি ওয়ার্ড ও লাগোয়া বজবজ পুরসভায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের তিনটি বড় এজেন্সি আছে। যাদের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ হয়ে থাকে। পুর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবে এ বিষয় নিয়ে। যাতে করে ওয়ার্ড ধরে ধরে বাড়ি ও ফ্ল্যাটে সিলিন্ডার চেক করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি গ্রাহককে সচেতন করা হবে।