আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এনিয়ে এক ব্যবসায়ী তাপস ভগৎ বৃহস্পতিবার বললেন, যেভাবে একের পর এক ফোন আসছে, তাতে প্রবল দুশ্চিন্তায় আছি। ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার করি। নিজের কথা ভাবি না। গোটা পরিবার উদ্বেগে রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখব। তিনি যদি বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেন। জেলে বসে কী করে সে তোলাবাজির সাম্রাজ্য চালাচ্ছে? হুমকি ফোনে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা নিয়ে লাভ হবে না। তোমাকে মারবই। ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে ভয় দেখিয়েছি, তোমাকে খুন করব। আমাদের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে।
২০২০ সালের ৪ঠা অক্টোবর টিটাগড় থানার উল্টোদিকে বি টি রোডের ওপরে দাবাং নেতা মণীশ শুক্লা খুন হন। ওই খুনের পর টিটাগড় বারাকপুর জুড়ে সুবোধ সিংয়ের নাম চর্চায় চলে আসে। ওই খুনের ঘটনায় সুবোধ সিংয়ের এক নির্ভরযোগ্য লিংকম্যানকে গ্রেপ্তার করেছিল বারাকপুরের পুলিস। তবে বিহার জেলে বন্দি সুবোধ সিংকে বারাকপুরে আনতে পারেনি পুলিস। এরপর ২০২২ সালের জুন মাসে একটি প্রখ্যাত বিরিয়ানির দোকানে শ্যুটআউটের ঘটনাতেও সুবোধ সিংয়ের নাম আসে। এরই মধ্যে অনেক ব্যবসায়ীর কাছেও হুমকি ফোন আসে। তাঁরা প্রাণভয়ে পুলিসের কাছে না গিয়ে সুবোধের লিংকম্যানদের সঙ্গে আপসে মীমাংসা করে নিয়েছেন। গোপনে দিয়ে যাচ্ছেন রংদারি ট্যাক্স। আর যাঁরা দিতে রাজি হচ্ছেন না, তাঁদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে চলছে বোমা, গুলি।
২০২৩ সালে তাপস ভগতের রেস্তরাঁতে বোমা পড়েছিল। আর গত শনিবার বেলঘরিয়া রথতলার মোড়ে ব্যস্ত রাস্তায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ির উপরে গুলিবৃষ্টি হল। জেলে বসেই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সুবোধ সিং। আবার কার উপরে গুলি চলবে, সেই আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করতে চলেছেন তাঁরা।