আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বারাসত পুলিস জেলার তরফে সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানে ফোন (০৩৩-২৫৪২৬১৫৪ ও ৯১৪৭৮৮৮১৬৫) করে সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি বা গ্যাংয়ের সম্পর্কে খবর দিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘চর্চিত’ হচ্ছে, ‘ছেলেধরা গ্যাং ঘুরছে মহানগরে’। লালবাজারের দাবি, এই ‘চর্চা’ একেবারে ভুয়ো। শহরে আদতে এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। এই গুজবের মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সাইবার শাখার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং বিভাগকেও।
এর পাশাপাশি বারাসত পুলিস জেলা জানিয়েছে, এলাকায় টহলদারির পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খুলে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বারাসত শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে সচেতনতামূলক প্রচারও করেছে পুলিস। বসেছে পুলিস পিকেট। পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া, অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী, এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কে মন্নাতরা কথাও বলেন অভিভাবকদের সঙ্গে। পুলিস আধিকারিকরা সাফ জানিয়েছেন, ‘শিশু চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি। গুজবে কান না দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। ছেলেমেয়েদের নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে পাঠান।’
বারাসতের কাজিপাড়ায় এক কিশোরের মৃত্যুর পর বারাসত শহরজুড়ে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটে। বুধবার বারাসতের দু’টি জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাও ঘটে। মারধরে এক মহিলা সহ তিনজন মারাত্মক জখম হন। আক্রান্ত হয় পুলিসও। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। এরপর বৃহস্পতিবার স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিস। মাইকিং করে মানুষের কাছে জানানো হয়— ‘কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন’। বারাসাত থানার পাশাপাশি পুলিস জেলার অন্তর্গত হাবড়া, অশোকনগর, দেগঙ্গা, মধ্যমগ্রাম ও দত্তপুকুর থানা এলাকাতেও চলছে পুলিসের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং। তর্ণিষ্ঠা ঘোষ নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘সত্যি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কিছু মানুষ বারাসত শহরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এরকম ঘটনা আগে কখনই ঘটেনি। পুলিস এই পদক্ষেপ আগে নিলে ভালো করত।’
অন্যদিকে বারাসতের এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। তাতে লেখা— ‘আপনাদের বাড়ির সদ্যোজাত থেকে ১২-১৩ বছরের বাচ্চাদের সামলে রাখুন। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সংলগ্ন এলাকায় একশোরও বেশি বাচ্চা চুরি গিয়েছে।’ এই পোস্ট নজরে আসে লালবাজারের মনিটরিং সেলের। এরপর তা পৌঁছয় উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, দ্রুত অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটকে সক্রিয় হওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদৌ শহরে কোনও গ্যাং ঘুরছে কি না, সেই রিপোর্ট চেয়েছে লালবাজার। শুধু তাই নয়, শহরের কোথাও বাচ্চা চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিস জানিয়েছে, গুজবে কান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।