আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ১১ জুনের যে বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে, তাতে স্পষ্ট করে লেখা, আন্দুল স্টেশনে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২২ জুন থেকে দশদিন এই শাখায় শতাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হবে। পাশাপাশি বাতিল হবে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ যেমন বদল বা সংক্ষিপ্ত করা হবে, তেমনই সময়ও পরিবর্তন করা হবে। ভাইরাল হওয়া এই বিজ্ঞপ্তি যে ভুয়ো, তা বুঝতে না পারায় বহু যাত্রী আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। তাঁরা কীভাবে কর্মস্থলে যাবেন, তা নিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবতে শুরু করেছেন। চিন্তা, আতঙ্কে দিশাহারা তাঁরা।
হাওড়ায় প্রতিদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লোকালে চড়ে কাজে আসেন সরকারি কর্মী শ্রীমন্ত গরানি। তিনি বলেন, এমনিতেই আমাদের লাইনে লোকাল ট্রেন নির্দিষ্ট সময় মেনে চলে না। অধিকাংশ দিনই দেরিতে চলে। একঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগে কখনও দু’ঘণ্টা, কখনও তারও বেশি। তার উপর যদি দশদিন ধরে কাজ চলে, তাহলে সমস্যা চরমে উঠবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। কোনও ট্রেনই বাতিল হচ্ছে না। নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ এই মুহূর্তে করা হচ্ছে না। ফলে সব ট্রেনের পরিষেবাই স্বাভাবিক থাকবে। যখন কাজ হবে, তখন আমরা নির্দেশিকা জারি করে যাত্রীদের অবগত করব। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অজয় দোলুই বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও কারণ নেই। কারণ গত বৃহস্পতিবার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে আমরা জানতে পেরেছিলাম, নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। তবে আমরা যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে কাজের দিন কমানো এবং রাতের দিকে কাজ করতে রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।