আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তবে মেট্রো ভবনের এক আধিকারিকই জানান, নর্থ সাউথ করিডরের অধিকাংশ মেট্রো স্টেশনে পর্যাপ্ত এএসসিআরএম মেশিন নেই। বহু স্টেশনে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যাত্রীদের অধিকাংশই এই মেশিন ব্যবহার করতে পারেন না। সবথেকে সমস্যার বিষয়, পুরনো নোট এই মেশিনে কাজ করে না। এর ফলে টোকেন পেতে দুর্ভোগে পড়বেন যাত্রীরা। তিনি বলেন, ‘কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে পরিষেবা চলাকালীন টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখার ঘটনা আগে ঘটেনি। যাত্রী পরিষেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সমস্ত রেল জোনগুলিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে কলকাতা মেট্রো স্পেশাল নাইট সার্ভিস চলাকালীন টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা খোদ রেলমন্ত্রীর নির্দেশকেই ছুড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ।’
মেট্রোর কর্মী সংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতার বক্তব্য, কর্মী শূন্যতায় ভুগছে রেল। কলকাতা মেট্রোর অবস্থা আরও শোচনীয়। একজন স্টেশন মাস্টারকে দিয়ে একাধিক স্টেশনের কাজ করানো হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় কর্মীর অভাবে সিংহভাগ টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকছে। ব্যস্ত সময় যাত্রীদের লম্বা লাইন পড়ছে স্টেশনগুলিতে। পরিষেবার মান তলানিতে ঠেকলেও কিছু মেট্রো কর্তা রেলের টাকার অপব্যবহার করেন। মেট্রোর কিছু অফিসারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার অশুভ আঁতাত গড়ে উঠেছে। মেট্রো স্টেশনগুলি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সামগ্রীতে ভরে উঠেছে। কাউন্টার বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষকে স্মার্ট কার্ড কিনতে বাধ্য করছেন মেট্রো কর্তারা। এই কার্ডে রেলের কাছে গচ্ছিত (ডিপোজিট মানি) টাকার অঙ্ক কয়েক মাস আগেই বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্ডে থাকছে বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনও।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার পর স্পেশাল নাইট সার্ভিস চালু করতে একপ্রকার বাধ্য হয় মেট্রো। ২৪ মে থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছিল। সোম থেকে শুক্র রাত ১১টায় এই বিশেষ পরিষেবা চলছে। যাত্রীদের দাবি ছিল, দিনের শেষ মেট্রো ন’টা চল্লিশে পাওয়া যায়।
শেষ মেট্রোর সময়সীমা খানিক বাড়ানো হোক। গত কয়েক বছরে যাত্রীদের এই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি মেট্রো। কিন্তু অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে লোক দেখানো নাইট সার্ভিস চালু করতে বাধ্য হয়। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে অযৌক্তিক সময়সূচী তৈরি করে। স্বাচ্ছন্দ্যেরও দফারফা করে ছেড়েছে। পরিষেবা বন্ধ করার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা মেট্রো।