গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, একমাত্র যাঁরা মেট্রো রেলে যাতায়াত করেন, তাঁদের তেমন একটা ভোগান্তি হবে না। কিন্তু মেট্রোর বাইরে যে যাত্রীরা রাতের দিকে বাড়ি ফেরেন, তাঁদের ভোগান্তি হবে মাত্রাছাড়া। বছরের অন্যান্য সময় বাস-মিনিবাস অমিল থাকলে অনেকেই অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ভোটের জন্য সেই ক্যাবের সিংহভাগ তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে চাহিদা মতো ক্যাবও পাবে না জনগণ। আর যে ক’টি ক্যাব রাস্তায় থাকবে, তার ভাড়াও আকাশছোঁয়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
এবারের ভোটে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাতে বাহিনী পাঠাতে হচ্ছে কলকাতা পুলিসকে। সূত্রের খবর, ষষ্ঠ দফায় দুই মেদিনীপুরের ভোটে তিন হাজার পুলিসকর্মী কলকাতা থেকে রওনা দেবেন। তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসের প্রয়োজন। ফলে মানুষের যাতায়াতের জন্য শহরে বাসের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকবে। সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেছেন, ‘এবার কার্যত জোর করে প্রতি রুট থেকে সব বাস তুলে নেওয়া হচ্ছে। তার ফলে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আমরা প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম, রুট থেকে ৩০ শতাংশ বাস তোলা হোক। কিন্তু তা হয়নি। ফলে ভোগান্তি অনিবার্য। আমরা নিরুপায়। যাত্রীদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
অভিযোগ, এমনিতেই কোভিডের পর কলকাতার প্রায় সব রুট থেকেই কমবেশি বাস কমে গিয়েছে। তার জায়গায় নতুন বাস পথে নামেনি। সরকারি বাস চলাচলেরও একই হাল। পাশাপাশি ১৫ বছরের সময়সীমার জেরে রোজ কিছু সংখ্যক বাস বাতিল হচ্ছে। সেই জায়গায় রুটে নতুন বাসের জোগান নেই। এরপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা দিচ্ছে ভোট। লোকসভা ভোটে চাহিদা মতো গাড়ির জোগান দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে কলকাতা পুলিসকে। অতীতের ভোটে এবারের মতো গাড়ির চাহিদা কোনওবারই নাকি ছিল না, দাবি পুলিসের। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে কলকাতা শহরে বাণিজ্যিক গাড়ির জোগান প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাধ্য হয়ে এবার ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে হাত বাড়াতে চলেছে কলকাতা পুলিস। এর মধ্যে টাটা সুমো, বোলেরো, স্করপিও, ইনোভা প্রধান লক্ষ্য কলকাতা পুলিসের।