মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
২০১৬ সালে টালা ব্রিজে বাসের ধাক্কায় মারা যান ছোটু ঘোষ নামের এক যুবক। পরবর্তী সময় তাঁর মা অঞ্জলি ঘোষ ও বাবা কলকাতা নগর দেওয়ানি আদালতে ছেলের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ থেকে ২০২০—এখনও নিষ্পত্তি হয়নি মামলার। তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য, মামলার কবে নিষ্পত্তি হবে, কেউ জানে না। আর ক্ষতিপূরণ তো দূরঅস্ত।
২০১৩ সালে উত্তর কলকাতার বি টি রোডের কাশীপুর এলাকায় তারকনাথ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি বাসের ধাক্কায় জখম হন। ওই ঘটনায় তার পা এবং কোমরে চোট লাগে। দু’টি পা-ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার বিচার এখনও চলছে। ২০০৮ সালে শিয়ালদহে রামনাথ বিশ্বাস লেনের বাসিন্দা শিবাস সাহা কলকাতার হো চি মিন সরণীতে বাসের ধাক্কায় জখম হন।
চোট পান মাথায়। পরবর্তী সময় তাঁর শরীরের নানা অংশ অকেজো হয়ে পড়ে। ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের হওয়ার পর গড়িয়ে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। কিন্তু আজও ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পাননি তিনি। তারকবাবু, শিবাসবাবুদের মতো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া মানুষের একটাই প্রশ্ন, আইনি জটিলতা কাটিয়ে কবে পাবেন ক্ষতিপূরণের টাকা?
আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, একদিকে আইনি জটিলতা, অন্যদিকে অতিমারির কারণে শুনানি না হওয়ায় মামলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন বিচারপ্রার্থীরা।