মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বিস্তীর্ণ এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হতো। পরে কন্টেইনমেন্টের এলাকা ছোট করা হয়েছে। প্রথমে পজিটিভ কেস ধরা পড়ার পর টানা ২১ দিন পর্যন্ত ওই এলাকা কন্টেইনমেন্ট করা হতো। পরে তা ১৪ দিন করা হয়। এখন সাত দিন করা হয়েছে। অর্থাৎ সাত দিন পর সংশ্লিষ্ট কন্টেইনমেন্ট জোন স্বাভাবিক হবে। আবার যেখানে করোনা আক্রান্ত ধরা পড়বে, সেই এলাকাকে নতুন কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। সেখানে লকডাউনও শুরু হবে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, জেলায় যে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে সেখানে লকডাউন হবে। রাজ্য থেকে আমরা নির্দেশিকা পেয়েছি। আমরা জেলায় প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি। সম্পূর্ণভাবে ২৪ ঘণ্টাই লকডাউন হবে। তাই ওই এলাকায় কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। কোনওরকম সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচি করা চলবে না। সরকারি কর্মচারীদের এলাকা যদি কন্টেইনমেন্ট জোন হয়, তাহলে তাঁদের অফিসেও আসতে হবে না। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিসও মোতায়েন করা হবে।
এদিকে, দিনদিন করোনা সংক্রমণ বেড়ে চললেও খোদ বর্ধমান শহরে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরেও এসেছে। তাই পূর্ব বর্ধমানে এবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। রাস্তায় এবার লাগাতার অভিযানও চালানো হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যও সচেতনতামূলক প্রচার চলবে। বিশেষ করে বাজার, শপিংমল, বড় দোকানে ভিড় এড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ক্রেতাদের পাশাপাশি, দোকানদেরও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
জেলাশাসক বলেন, বাইরে বের হলে মাস্ক পরতেই হবে। এটা আমরা নতুন করে নির্দেশ জারি করব। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার অভিযানও চালানো হবে। কারণ, সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহার খুবই প্রয়োজন। নিজেদের স্বার্থেই প্রতিটি মানুষকে মাস্ক পরে বের হতে হবে। সেই সঙ্গে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনেও চলতে হবে।