মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ ছুঁইছুঁই। মৃত্যু হয়েছে একজনের। খোদ জেলা সদর শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় তিন পুলিস কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লকডাউন কঠোর হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া আইন লাগু হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পুলিস কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে পুলিস কর্মীদের প্রহরা থাকবে। ফলে করোনার সংক্রমণ পুলিস কর্মীদের মধ্যেও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি মনে করছেন রায়গঞ্জের পুলিস জেলার সুপার।
আম জনতা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, তার নজরদারি চালাবে পুলিস। প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিস অভিযান চালাবে। মাস্ক ব্যবহার না করলে মামলা ঠুকতেও পিছপা হবে না পুলিস। অর্থাৎ লকডাউন আইন মানা বাধ্যতামূলক করছে জেলা পুলিস প্রশাসন। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে প্রচার চালানো হবে থানার তরফে। পুলিস সুপার বলেন, পুলিস কর্মীদের সর্ষের তেল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। অনেকেই উপকার পাচ্ছেন। দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভেষজ উপাদন খেতে বলা হয়েছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়লেও আম জনতার হুঁশ ফেরেনি। রায়গঞ্জ শহরের প্রতিটি বাজার হাট, রাস্তাঘাটে ঠাসা ভিড়। সামাজিক দূরত্ববিধি কেউই মানছে না। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেকে উদাসীন। বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়াই বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। অনেকে আবার মাস্ক থাকলেও নাকের নীচে রাখছেন। যা মাস্ক ব্যবহার না করার সমতুল্য। সচেতন ব্যক্তিরাও মাস্ক নিয়ম মেনে পরছেন না। পুলিস কর্তারা জানান, মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম বিধি সম্পর্কে লাগাতার প্রচার চলবে। স্যানিটাইজার নিয়মিত ব্যবহার করতে বলা হবে। প্রয়োজনে পকেটে ছোট স্যানিটাইজারের বোতল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ শহরে পূর্ণ লকডাউনের দাবি তুলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি জেলাশাসককে এনিয়ে চিঠিও লিখেছেন। বিধায়ক বলেন, এক মাস আগে সুর্দশনপুর এলাকায় প্রথম করোনা থাবা বসায়। তারপর কাঞ্চনপল্লি, দেবীনগর, বীরনগর, কলেজপাড়া, লাইনবাজার, মোহনবাটি, নেতাজিপল্লি, বিধাননগর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুর এলাকায় করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে। তাই এখানে ১৪ দিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হোক।