মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কয়েকবছর আগে হরিণঘাটা পুরসভা তৈরি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পরিকাঠামো এখনও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি। যার জেরে পুরসভার নিজস্ব জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। বছর কয়েক আগে কল্যাণী থেকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের তরফে গঙ্গা থেকে জল তুলে এনে পাইপের মাধ্যমে সমগ্র হরিণঘাটা এলাকায় সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শুরুর পর থেকে জলের চাপ নিয়ে অভিযোগ না
থাকলেও এখন রীতিমতো ভুগতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, জলের চাপ অত্যন্ত কমে গিয়েছে, তা নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, হরিণঘাটা পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি এলাকার বহু মানুষ মূল জল সরবরাহকারী পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে নিজেদের বাড়িতে জলের সংযোগ টেনে নিয়েছে। কেউ আবার জলের মিস্ত্রিদের ১২০০-১৫০০ টাকা দিয়ে মাটির তলা থেকে এই সংযোগ নিয়েছে। তবে সেই ধরনের বাড়ির সংখ্যা কত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা পুরসভা কারও কাছেই নেই। যার জেরে কড়া পদক্ষেপের ইচ্ছে থাকলেও প্রশাসনের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
হরিণঘাটা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রাজীব দালাল বলেন, এটা পিএইচইর ব্যাপার। আমি এব্যাপারে কিছু বলব না। হরিণঘাটার বিধায়ক নীলিমা নাগ বলেন, জলের চাপ কম থাকার অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। কিন্তু মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে কী করা যাবে বলুন! জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাইপলাইনে বেআইনিভাবে ফুটো করে কেউ কেউ নিজের বাড়িতে জলের সংযোগ নিয়ে নিচ্ছে। এখন কোথায় কতজন ছিদ্র করেছে তা খুঁজে পাওয়াও সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তো হবেই। তাও আমি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্তাদের কথা বলব। কতটা সম্ভব, তা আমি দেখব।
হরিণঘাটা পুরসভার অন্তর্গত বড়জাগুলির দীঘাপাড়া, নাগপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার পাশে দু’টি কলের সামনে বালতি রাখা। পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দারা বললেন, জল কবে আসবে, কোনও ঠিক নেই। একদিন জল আসে তো, পর পর তিনদিন সুতোর থেকেও সরু হয়ে জল পড়ে অথবা পড়েই না। কিন্তু বালতি রাখা থাকে। অন্তত জল এলেই যাতে ধরে রাখা সম্ভব হয়। কলের জলে সরাসরি পানীয় হিসেবে অনেকে ব্যবহার করেন না। কিন্তু গৃহস্থালীর বাকি কাজের জন্য প্রয়োজন হয়। তাও দিনের পর দিন ঠিকমতো জল না পাওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। আবার খেলারমাঠ, ঘোষপাড়া, কালীবাজার এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, অবৈধভাবে সংযোগ নিলে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। যখন এই ধরনের কাজ প্রথম নজরে এসেছিল, তখনই কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। তাহলে বর্তমানে এই সমস্যা এতবড় আকার নিত না।