মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দফায় দফায় তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক চিত্র ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর ঘটনা ঘটল বারাকপুর কমিশনারেটের অধীনে। নোয়াপাড়ায় বিজেপি কর্মীর গাড়ি ভাঙচুর, উত্তর বারাকপুরে তৃণমূল কোঅর্ডিনেটরকে গুলির পর রবিবার রাতের ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন পুলিস-প্রশাসনের একাংশ। অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভার ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত এই ধরনের ঘটনা বাড়বে। তবে এই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পাঁচজন পুলিসকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কমিশনারেটের ডিসি (দক্ষিণ) অজয় ঠাকুর বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে জেরা করা হচ্ছে। এলাকায় পুলিসি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, অর্জুন সিং গুন্ডামি শুরু করেছে। এলাকার শান্তি নষ্ট করছে। বিজেপি বাইরে থেকে জেলায় দুষ্কৃতীবাহিনী আনছে। পাল্টা বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, জেলায় তাদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এজন্যই অশান্তি শুরু করেছে। একজন সাংসদও রেহাই পাচ্ছেন না। দলীয় স্তরে আলোচনা করে বাকি পদক্ষেপ করা হবে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর এবং পাল্টা বীজপুর তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারীর চার চাকার গাড়ি তছনছের ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বোলদেঘাটা। শাসকদলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্টোদিকে, অর্জুন-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা হালিশহরের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান রাজা দত্তের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাসিন্দারা জানালেন, এরপরই দু’পক্ষের ইট-বোতল ছোঁড়াছুঁড়ি, গুলি-বোমাবাজি শুরু হয়। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে দাবি।
এদিকে, বিজেপির তরফে দলীয় সাংসদের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদে পানপুর এবং বাসুদেবপুরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাল্টা বিকেলে বোলদেঘাটায় তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ সভা করা হয়। বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, রাতে পুলিস বোলদেঘাটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরেও হালিশহরের ৪, ৫, ২, ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং হাজিনগরে বুথ সভাপতি এবং দলের নেতাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী এই ঘটনা ঘটায়।