মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ইংলিশবাজার শহরের ১৩ জন, মহদিপুরের একজন, পুরাতন মালদহের ছ’জন, রতুয়া-১ ব্লকের পাঁচজন, কালিয়াচক-২ ব্লকের আট জন, কালিয়াচক-৩ ব্লকের চারজন, হবিবপুরের দু’জন এবং কালিয়াচক-১ ব্লকের একজন বাসিন্দা রয়েছেন। ফলে জেলার যেসব এলাকায় লকডাউন বলবৎ হয়েছে, সেখানে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যদিও এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে কোনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সংক্রামিত এলাকায় যে দ্রুত হারে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মেনে নিয়েছেন। মানুষ সচেতন না হলে কিছুদিনের মধ্যে মালদহের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেও তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
মালদহ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বর্তমানে বিয়ের মরশুম চলছে। সরকারের তরফে সীমিত সংখ্যক লোকজন নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেকেই এইসময় বিয়ে সেরে নিচ্ছেন। মার্চ মাসের পর থেকে স্থগিত থাকা বিয়েও সম্পন্ন হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। এই সব সামাজিক অনুষ্ঠানের ফলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাত দিনের লকডাউন কতটা কাজে আসবে তা নিয়েও আমরা সন্দিহান। তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে এখনও জেলাস্তরে কোনও আলোচনা হয়নি।
এদিকে, বুধবার পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুরে পাঁচ জন বিএসএফ জওয়ান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। তাঁরা পুরাতন মালদহ ব্লক লাগোয়া বাজারে আসা-যাওয়া করতেন, এমনটাই স্থানীয় বাসিন্দারা অনুমান করছেন। সম্প্রতি পুরাতন মালদহ বিডিও অফিস চত্বর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। ব্লকের একাধিক কর্মী আক্রান্তের পর নারায়ণপুরের এক-দু’জন করে জওয়ান করোনায় আক্রান্ত হতে থাকেন। এ ব্যাপারে বিএসএফের তরফে কোনও বক্তব্য মেলেনি। নারায়ণপুর ব্লক অফিসের ঢিল ছোড়া দুরত্বে বিএসএফ ক্যাম্প রয়েছে। তার পাশে স্থানীয় দোকান বাজারে সব সময় কেনা কাটা হয়।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও চারজনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ভাইরোলজি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে একজন রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। একজন রায়গঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা। আর দু’জন চাকুলিয়া ব্লকের বাসিন্দা। তবে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে চায়নি স্বাস্থ্যদপ্তর। আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪২ জন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
গৌড়বঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত
মালদহ: ৪১
উত্তর দিনাজপুর: ৪
দক্ষিণ দিনাজপুর: ০